যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর ইউজিসি’র প্রতিনিধিদল আসছে বুধবার। অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন। ইতিমধ্যেই র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। তাতে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস থেকে থানা। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে অনেক তথ্য জোগাড় করে ফেলেছে। তার মধ্যে প়ড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আরও ৬জন ছাত্রকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তদন্তের স্বার্থে পডুয়াদের নাম গোপন রাখা হয়েছে।
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখবে ইউজিসি প্রতিনিধিদল। তদন্ত কতদূর এগিয়েছে সেটাও দেখবেন তাঁরা। এখন আবার নিহত ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর পর উদ্ধার হয়েছে ইংরেজিতে লেখা একটি চিঠি। তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। পুলিশ বশ্য তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, জোর করে মৃত ছাত্রকে দিয়েই আগেই লেখানো হয়েছিল ওই চিঠি। এই চিঠি লেখানোর সময় গ্রেফতার হওয়া তিনজন সেখানে উপস্থিত ছিল বলে খবর। এমনই তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। তাই তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার সঙ্গে অনেকে জড়িয়ে। তদন্তে নেমে রহস্যের জাল গুটিয়ে আনা হচ্ছে। স্বয়ং কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, দ্রুত ছাত্র মৃত্যুর রহস্যের কিনারা হয়ে যাবে। তদন্তে সব উচ্চপর্যায়ের অফিসাররা রয়েছেন। এক প্রাক্তনী গ্রেফতার হলেও আরও এক প্রাক্তনীর নাম উঠে আসছে। আর দুই প্রাক্তনী পরস্পরের পরিচিত। ইতিমধ্যেই ওই প্রাক্তনী ভিনরাজ্যে গা–ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে ওই প্রাক্তনীকে ধরার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ বোসের, রাজ্যপালকে যুক্ত করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে মৃত ছাত্রের বাবা যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে নানা নাম উঠে এসেছে। একজনকে গ্রেফতার করে বাকি দু’জনের নাগাল পাওয়া গিয়েছে। এই দু’জনকে এবার জেরা করে বাকি ৬ জনের নাম মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তাই এবার তাদের তলব করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে খুন ও সম্মিলিত অপরাধের ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তারপর পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে। কীভাবে পাশ করার পরও দিনের পর দিন প্রাক্তনীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেন? এখন তা জানতে শুরু করেছে পুলিশ।