প্রথম ম্যাচের মতো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচেও ব্যাটে-বলে ব্যর্থ হলেন সিকন্দর রাজা। ক্যাপ্টেন ব্যর্থ হলে জিম্বাবোয়ের পারফর্ম্যান্স যে তলানিতে গিয়ে পৌঁছয়, সেটা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। সেই ধারা বজায় থাকল চট্টগ্রামেও। দলগত পারফর্ম্যান্সে ভর করে জিম্বাবোয়েকে অনায়াসে হারাল বাংলাদেশ এবং সেই সুবাদে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ লিড নিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
রবিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবোয়ে। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে। ২৪ বলে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৫ রান করেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ২৯ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্রায়ান বেনেট। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া জয়লর্ড গাম্বি ১৭ ও ক্রেগ আর্ভাইন ১৩ রানের যোগদান রাখেন। ক্যাপ্টেন সিকন্দর রাজা মাত্র ৩ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি ক্লাইভ মাদান্দে। মারুমানি ২ ও লিউক ২ রান করে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান ও মহম্মদ শরিফুদ্দিন।
আরও পড়ুন:- ১১ দেশের প্রথম বোলার যাঁরা IPL-এর এক ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন
পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বটে, তবে তাদের লড়াই চালাতে হয় ১৯তম ওভার পর্যন্ত। তারা ১৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৯ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। তৌহিদ হৃদয় ২৫ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৬ বলে ২৬ রান করে নট-আউট থাকেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
লিটন দাস করেন ২৫ বলে ২৩ রান। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। তানজিদ হাসান করেন ১৯ বলে ১৮ রান। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৫ বলে ১৬ রান করেন ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ১টি ছক্কা মারেন। ১২ বলে ১৩ রান করেন জাকের আলি। তিনিও ১টি ছক্কা মারেন। অর্থাৎ, তৌহিদ ও মাহমুদুল্লাহ ছাড়া বাংলাদেশের বাকি ব্যাটসম্যানরা অত্যন্ত ধীর গতিতে রান তোলেন। জিম্বাবোয়ের লিউক ২টি উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন তৌহিদ।