যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে ধৃত ছাত্র সপ্তক কামিল্যাকে সেখানে নিয়ে গেল পুলিশ। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁকে হস্টেলে নিয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। কোথায় কী ভাবে মৃত ছাত্রের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল তা পুলিশ আধিকারিকদের চিহ্নিত করে দেখান ওই ছাত্র।
গত ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে তিন তলা থেকে রহস্যজনকভাবে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের ছাত্রের। তদন্তে নেমে একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তাদের সবাই বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। দফায় দফায় তাঁদের জেরা করছেন তদন্তকারীরা।
এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে লালবাজার থেকে সপ্তককে নিয়ে আসা হয় যাদবপুর থানায়। জানা যায় তাঁকে হস্টেলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবেন তদন্তকারীরা। সেই মতো বেলা ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ সপ্তককে নিয়ে হস্টেলে পৌঁছয় পুলিশ। এর পর কী ভাবে কোথায় কোথায় ওই ছাত্রের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল? কোথায় বসে তাঁকে দিয়ে জোর করে চিঠিতে সই করানো হয়েছিল তা ধৃতকে দেখাতে বলেন পুলিশকর্মীরা। সেই মতো ঘটনাস্থলগুলি ঘুরে দেখান ধৃত ছাত্র।