এবার ভাঙন ধীরল কংগ্রেসে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসকে লাগাতার গালাগালি দিয়েই চলেছেন। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা হাতছাড়া হচ্ছে কংগ্রেসের। এবার কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন কাউন্সিলর ওয়াসিম আনসারি। তিনি কলকাতা পুরসভার মেটিয়াবুরুজ এলাকায় ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল খালেক মোল্লার হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নেন ওয়াসিম আনসারি। এতদিন কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সংখ্যা ছিল ১৩৫টি। ওয়াসিম আনসারি যোগ দেওয়ায় সেই সংখ্যা দাঁড়াল ১৩৬। সুতরাং কলকাতা পুরসভায় ক্ষীণ হল কংগ্রেস। যা বেশ চিন্তার কংগ্রেসের কাছে।
এদিকে কলকাতা পুরসভায় শক্তি বাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের। এই বিষয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর ওয়াসিম আনসারির দাবি, ‘তৃণমূল কংগ্রেসে থেকেই প্রকৃত উন্নয়ন করা সম্ভব।’ কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত মোট ১৪৪টি ওয়ার্ড। আর তার মধ্যে এখন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্গত ওয়ার্ড বেড়ে হল ১৩৬। সুতরাং আগেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার সেটা আরও শক্তিশালী হল। কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন দু’জন কাউন্সিলর। সন্তোষ পাঠক আর ওয়াসিম আনসারি। ওয়াসিম আনসারি দলবদল করার ফলে কলকাতা পুরসভায় কংগ্রেস একা হয়ে গেল।
অন্যদিকে আর এই যোগদানের ফলে একা হয়ে রইলেন সন্তোষ পাঠক। কেন করলেন এই দলবদল? এই বিষয়ে ওয়াসিম আনসারির সাফ জবাব, ‘কংগ্রেসে থেকে উন্নয়নের কাজ করা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নযজ্ঞে সামিল হয়ে কাজ করতেই এই দলবদল।’ আবার ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং আরও চার কংগ্রেস কাউন্সিলর যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। পুরপ্রধান ও চার কংগ্রেস কাউন্সিলর শাসক শিবিরে যোগ দেওয়ায় ঝালদা পুরসভা এখন চলে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। সুতরাং বাংলায় বিধানসভা থেকে শুরু করে পুরসভা, পঞ্চায়েতে কংগ্রেস ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাথার উপর আর তারের জঞ্জাল নয়, শহরে অভিযানে নামছে কলকাতা পুরসভা
আর কী জানা যাচ্ছে? কিছুদিন আগে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে বাইরন বিশ্বাসকে সামনে রেখে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু দেখা গেল সেই বাইরন বিশ্বাস তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। কংগ্রেস ত্যাগ করলেন। এভাবেই কংগ্রেস বাংলার সর্বস্তর থেকে মুছে যাচ্ছে। কারণ তাঁদের বলিষ্ঠ নেতা নেই। আর কিছু করে দেখাচ্ছেন না নেতারা। কলকাতা পুরসভায় এখন সব মিলিয়ে বিরোধী কাউন্সিলর দাঁড়াল আটজন। তার মধ্যে বিজেপির তিনজন, সিপিএমের একজন, সিপিআইয়ের একজন, কংগ্রেসের একজন, আর দু’জন নির্দল কাউন্সিলর।