তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট। উত্তরবঙ্গ থেকে দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা কলকাতার অভিমুখে রওনা হয়েছেন। একটা করে ট্রেন শিয়ালদা আর হাওড়ায় আসছে আর তাতে একেবারে লোকে লোকারণ্য অবস্থা। তবে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আবার অন্য ছবি কলকাতার রাস্তায়। একের পর এক বাস কলকাতার রাস্তা থেকে তৃণমূল তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় অফিস ফেরৎ যাত্রীদের।
তবে অনেকেরই আশঙ্কা শুক্রবার কলকাতার রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। জেলা থেকেও প্রচুর বেসরকারি বাস কলকাতায় তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে আসবে। তার জেরে জেলাস্তরেও বাস পরিষেবার ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এদিকে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে একই বাস মালিকের কাছে তৃণমূলের অন্তত তিনটি আলাদা গ্রুপ বাস দেওয়ার জন্য আব্দার করেছেন। এনিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন বাস মালিকরা।
দমদম, নাগেরবাজার, শ্য়ামবাজার, সল্টলেক, সোনারপুর, গড়িয়াহাট রুটে যে বাস চলে তাতে বড় প্রভাব পড়তে পারে। শুক্রবার ওই রুট গুলিতে ২০ শতাংশ বাস চলবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
এদিকে শুক্রবার ছুটির দিন নয়। কিন্তু আদৌ কতজন অফিসে থাকবেন তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে জরুরী প্রয়োজনে অনেকেই শহরতলি থেকে কলকাতায় আসেন। হাসপাতালে ভর্তি প্রিয়জনকে দেখার জন্যও যেতে হয়। সেক্ষেত্রে তারা আদৌ বাস পাবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
সব মিলিয়ে শুক্রবার ২১ জুলাই কলকাতার রাজপথে বড় ভোগান্তির আশঙ্কা। হু হু করে বেসরকারি বাস কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে যারা পুলকারে করে স্কুলে যায় সেই পড়ুয়ারাও শুক্রবার সমস্যায় পড়তে পারে বলে খবর। বৃহস্পতিবার একাধিক পুলকার মালিকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, শুক্রবার পুলকার পাঠানো সম্ভব নয়। পড়ুয়াদের নিজেদের উদ্যোগে স্কুলে আসতে হবে। সূত্রের খবর, পুলকার চালকদের অনেকেই শুক্রবার শহিদ মিনারে যাবেন। আবার শাসকদলও পুলকারগুলির একাংশ তাদের প্রয়োজনে নিয়ে নিচ্ছে বলে খবর। দমদম স্টেশনের কাছে থাকা একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়ারা অনেকেই পুলকারে করে যাতায়াত করে। তবে পুলকারের মালিক হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, সকালের দিকে পুলকার যাবে। কিন্তু বেলায় দিতে পারব না। এক পুলকার চালক জানিয়েছেন, কাল ফেরার সময় গাড়ি দেওয়া যাবে না।