করোনার দাপট কমেছে অনেকটাই। আর বসন্তও এসে গিয়েছে। আর তার সঙ্গেই হইহই করে এসে গিয়েছে বইমেলা। তবে বছর দুয়েক ধরে করোনার দাপটে কোথাও যেন সুর কেটেছিল বইমেলায়। আর এবার ফের ছন্দে ফিরেছে কলকাতা বইমেলা। মোবাইলের সর্বগ্রাসী হানার মধ্যেও প্রিয় বইয়ের জন্য় বইমেলায় ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই। গিল্ডের তথ্য অনুসারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩ লক্ষ মানুষ বইমেলায় এসেছেন। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। আর বুধবার পর্যন্ত প্রায় ১১ কোটি টাকারও বেশি বই বিক্রি হয়েছে কলকাতা বইমেলায়। হিসাব বলছে গত ৪৫ বছরে এত বই এর আগে বিক্রি হয়নি। কার্যত বই বিক্রির নিরিখে গত ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার পথে এবারের বইমেলা।
ইদানিং তরুণ প্রজন্মকে একটা বদনাম প্রায়ই শুনতে হয়, তাঁরা নাকি মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকেন। পাড়ার লাইব্রেরিতে গিয়েও আর বিশেষ কেউ বলেন না, কাকু সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের একটা ভালো বই দিন না! পড়ব! তবে এবার যেন অন্য ছবি বইমেলায়। রাতদিন ইউ টিউবে ডুবে থাকেন যে কলেজছাত্রী তিনিও গিয়ে উলটে পালটে দেখছেন বইয়ের মলাট। চোখও কিছুক্ষণের আটকে যাচ্ছে সেই বইতে। এরপর বই কিনে বাড়ি ফেরা। মুখে তৃপ্তির হাসি। আর সেই হাসি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বইমেলা জুড়েই।
বইয়ের এই বিক্রিবাটা জমে ওঠায় অত্যন্ত খুশি বইয়ের প্রকাশক থেকে বইয়ের বিক্রেতারা। দেবসাহিত্য কুটিরের দেবাশিস চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ৩৯ বছর ধরে স্টল সামলাচ্ছি, এত বিক্রি আগে দেখিনি। আর গিল্ডের সক্রিয় সদস্য শুভঙ্কর দে জানিয়েছেন, বই বিক্রিতে ৪৫ বছরের রেকর্ড ভাঙা নিয়ে আর আমাদের কোনও সংশয় নেই।