রেক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে যে নাকের জল–চোখের জল এক হয়ে যাবে তা কে জানত। হ্যাঁ, এমনই ঘটনা বাস্তবে ঘটেছে। জোকা–তারাতলা মেট্রোর ট্রায়াল রান হবে। আগের নন–এসি রেক এই ট্রায়াল রানের কাজে লাগানো হবে। কিন্তু লাইনের সংযোগ না থাকায় এখানে লরিতে করে পাঠানো হবে জোকায়। রেক পাঠানো হবে জোকা কারশেডে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রেলার পথে নামতেই রেক–সহ কাদা মাটিতে আটকে যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বিশালাকার ক্রেন নিয়ে এসে তা তোলার চেষ্টা করে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? মেট্রো সূত্রে খবর, এখানে লাইন বসানো হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। কিন্তু আগামী বছর জোকা–তারাতলা মেট্রো চালু করার লক্ষ্য নিয়েছে মেট্রো রেল। তাই নন–এসি রেক দিয়ে ট্রায়াল রানের চেষ্টা করা হয়। ট্রেলারে করে সেই রেক নিয়ে আসতে গিয়ে কাদা মাটিতে তা আটকে যায়। যার জেরে চোখের জল–নাকের জল এক হয়ে যায়। জোকা–বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পে লাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছিল। ছত্তিশগড় থেকে কলকাতায় আসে ইস্পাতের রেল। লাইন বসানোর জন্য এসেছে নেদারল্যান্ডের মেশিন।
আর কী জানা যাচ্ছে? মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, লাইন পাতার কাজ এখন প্রায় শেষ। জোকা ডিপো থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রোর স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ হয়ে গিয়েছে। এবার মেট্রোর ট্রায়াল রানের কাজ শুরু হবে। এই মেট্রো লাইনে কোনও জয়েন্ট থাকে না৷ তাই প্রত্যেকটি লাইন পাশাপাশি বসিয়ে বিশেষ যন্ত্র দিয়ে জোড়া হচ্ছে। তারপর পরীক্ষা করা হবে।
আধিকারিকরা ঠিক কী জানাচ্ছেন? রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের আধিকারিকরা জানান, মেট্রো লাইন সুড়ঙ্গ অথবা মাটির অনেক উপরে হয়। তাই লাইন বদলানো সহজ কাজ নয়। ছত্তিশগড়ের কারখানা থেকে রেলে করে শালিমার ইয়ার্ডে ইস্পাত নিয়ে আসা হয়েছে। এই লাইনের সহনশীলতার ক্ষমতা অনেকটা বেশি। এই ইস্পাত কয়েক মিনিট অন্তর ট্রেন চলাচলের পক্ষে সুবিধাজনক।