'গুজরাত অন ফাস্ট ট্র্যাক'। টুইটার হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে সেই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার নিয়ে কলকাতা মেট্রোকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান। গুজরাত সরকারের আত্মপ্রচারের টুইটার হ্যান্ডেলের মতো আচরণ না করার পরামর্শ দিলেন।
শুক্রবার বিকেলের দিকে কলকাতা মেট্রোর টুইটার হ্যান্ডেলে নতুন করে সাজিয়ে তোলা গান্ধীনগর স্টেশনের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। ২৫ সেকেন্ডের ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়, 'বিভিন্ন রঙের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে নতুন করে সাজিয়ে তোলা গান্ধীনগর ক্যাপিটাল স্টেশন।' সঙ্গে 'গুজরাত অন ফাস্ট ট্র্যাক' (গুজরাত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে) হ্যালস ট্যাগও যোগ করা হয়। তা নিয়েই সরব হন ডেরেক। সেই টুইট রিটুইট করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, ‘এটাকে প্রোপাগান্ডা হ্যান্ডেল হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা হোক।’
এমনিতে গান্ধীনগর স্টেশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা ভারতের মধ্যে প্রথম রেলস্টেশন হিসেবে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। গুজরাত সরকার এবং ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে গান্ধীনগর স্টেশনকে নতুনভাবে সেজে উঠেছে। সেজন্য খরচ হয়েছে ৭১.৫ কোটি টাকা। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে একাধিক 'প্রথমের' সাক্ষী থাকছে গান্ধীনগর স্টেশন। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে স্টেশনের উপর তৈরি হওয়া পাঁচতারা হোটেল। যা ভারতীয় রেলের ইতিহাসে প্রথম। সেই হোটেলে ৩১৮ টি রুম আছে। যা বেসরকারি সংস্থা চালাবে। ৭,৪০০ স্কোয়ার মিটার এলাকাজুড়ে হোটেল তৈরি করা হয়েছে। খরচ পড়েছে ৭৯০ কোটি টাকা। গান্ধীনগর স্টেশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের উপর বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। স্টেশনে প্রবেশ এবং বাইরে আসার জন্য পৃথক রাস্তা করা হয়েছে। বড়সড় পার্কিং লট আছে। যেখানে ৩০০-র বেশি গাড়ি রাখা যাবে। বিশেষভাবে সক্ষমদের সুবিধার্থে বিশেষ পৃথক কাউ্টার আছে। আছে র্যাম্প, লিফট, নির্দিষ্ট পার্কিং লট। স্টেশনে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই কানেকশন পাওয়া যাবে। ওয়েটিং রুমে প্রায় ৫০০ জন বসতে পারবেন। দুটি সেন্ট্রালাইজড ওয়েটিং রুমে ৪০ জন বসতে পারবেন। আছে এসক্যালেটর। মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য আছে বিশেষ ঘর।