বাতাসে ভাসমান কণার ভিত্তিতে এগিয়ে ছিল দিল্লি। কিন্তু বেরিয়াম ও সীসার নিরিখে গত বছর দীপাবলিতে দিল্লিকে ছাপিয়ে যায় কলকাতা। শুধু তাই নয়, সেদিন দেশের মধ্যে কলকাতার বাতাসে বেরিয়াম ও সীসার উপস্থিতি ছিল সবথেকে বেশি। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নয়া রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বাতাসে ঘনমিটার পিছু সীসার সর্বোচ্চ সীমা এক মাইক্রোগ্রাম। গত দীপাবলিতে বাতাসে সীসার উপস্থিতি প্রায় ন'গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বেঙ্গালুরুর বাতাসে সীসার উপস্থিতি প্রায় আট গুণ বেশি ছিল। দিল্লির বায়ুতে সীসার মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ০.৩২ মাইক্রোগ্রাম। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, 'ন্যাশনাল অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ডের নির্ধারিত সীমার থেকে দীপাবলিতে কলকাতার বাতাসে সীসার উপস্থিতি বেশি ছিল।'
শুধু সিসা নয়, গত দীপাবলিতে কলকাতার বায়ুতে মাত্রাছাড়া ছিল বেরিয়ামেরও পরিমাণ। বাতাসে যেখানে বেরিয়ামের সর্বোচ্চ সীমা প্রতি ঘনমিটার চার মাইক্রোগ্রাম, দীপাবলিতে তা ছিল প্রতি ঘনমিটার ২০.০৩ মাইক্রোগ্রাম। কলকাতার তুলনায় দিল্লির বায়ুতে বেরিয়ামের মাত্রা কিছুটা কম থাকলেও তা সর্বোচ্চ সীমার তুলনায় ৪.৫ গুণেরও বেশি ছিল।
কিন্তু বাতাসে সিসা বা বেরিয়ামের উপস্থিতি বাড়লে কী হয়?
এইমসের মেডিসিনের অধ্যাপক নাভাল বিক্রম বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসার সম্পর্শে আসার ফলে স্নায়ুজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পায়। ত্বকেও সমস্যা দেখা দেয়। তবে একদিনে বাতাসে খুব বেশি পরিমাণে সিসা থাকলে অন্যান্য যে ভাসমান কণা থাকে, তার ফলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়।'
দীপাবলিতে কলকাতার বাতাসে পিএম ২.৫ ও পিএম ১০-এর মাত্রাও অত্যধিক ছিল। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক জানান, দিল্লি ও লখনউয়ের পর কলকাতার বাতাসে সবথেকে বেশি এই জাতীয় ভাসমান কণা ছিল।