মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের খেলা হবে দিবসের দিন পরিবর্তন করার আর্জি নিয়ে মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকজন গেরুয়াধারী সন্ন্যাসী ছিলেন এদিন। আর এরপরই মঙ্গলবার রাতে এক দীর্ঘ পোস্টে 'কো হবে' দিবসের যুক্তি পেশ করে শুভেন্দুকে তোপ দাগেন কুণাল। সঙ্গে একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বও 'খেলা'র জন্যে হেঁটেছিলেন। পাশাপাশি কুণালবাবু এদিন শুভেন্দুকে বিজেপির ইতিহাস শেখার পরামর্শও দেন।
এদিন এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দুকে তোপ দেগে কুণাল ঘোষ লেখেন, 'ওওওওও শুভেন্দু, তুমি নাকি 'খেলা হবে' দিবসের বিরোধিতা করেছো? ছবিটা দেখো।১৬ অগাস্ট ২০১৪, রাজ্য বিজেপি এই দিনটাই খেলার জন্যে হেঁটেছিল। ছবিতে রাহুল সিনহা, তথাগত রায়, রীতেশ তিওয়ারি। সম্ভবত সিদ্ধার্থনাথ সিংহও আছেন। অবশ্য তোমার মত তৎকাল বিজেপি জানবে কী করে? তখন তো তুমি তৃণমূলের মঞ্চে ক্ষমতা, আরও ক্ষমতার বৃত্তে। তুমি বিজেপির ইতিহাস জানো না। বাংলার খেলাপ্রেমী মানুষের সঙ্গেও তোমার সম্পর্ক নেই। তাই ১৬ অগাস্ট 'খেলা হবে' দিবসের বিরোধিতা করছ। ছবিটা দেখো।'
এরপর শুভেন্দুকে পরামর্শ দেওয়ার সুরে কুণাল লেখেন, 'কৃশানু মিত্রের মত বিজেপির ইতিহাস জানা পুরনো নেতাদের কাছ থেকে শেখো। এই দিনটা দীর্ঘদিন ধরে পালিত হয়। এখন মুখ্যমন্ত্রী সেটিকে সরকারি স্বীকৃতি দিলেন। শুধু হুক্কা হুয়া দিয়ে রাজনীতি হয় না, এটা যে কেন কেউ কেউ বোঝে না! রাজ্যপাল সতর্ক হোন। শুভেন্দু নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে আপনাকে বিভ্রান্ত করছে।'
১৯৪৬ সালের ১৬ অগস্ট গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল, তাই ওই দিনটিকে খেলা হবে দিবস না করার আর্জি জানিয়েছে বিজেপি। এদিকে মঙ্গলবার শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করার পর রাতেই দিল্লি উড়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।