থানার বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি না থাকা বা অচল থাকা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিপাকে পড়তে হচ্ছে কলকাতা পুলিশকে। এই অবস্থায় সিসিটিভি নিয়ে নয়া নির্দেশ জারি করল লালবাজার। সেক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরাগুলি কী অবস্থায় রয়েছে? প্রতিদিন তা রিপোর্ট আকারে লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে থানাগুলিকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত সিসি ক্যামেরাগুলি সচল রাখার জন্যই লালবাজারের তরফে এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরেও পর্যাপ্ত CCTV বসেনি আমহার্স্ট স্ট্রিট সহ বহু থানায়
সম্প্রতি, একটি থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সেখানে এক ব্যক্তি অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন আধিকারিকরা। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ কর্তারা জানতে পারেন যে জায়গায় ব্যক্তির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা অচল। তবে শুধুমাত্র পূর্ব কলকাতার ওই থানার বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ নয়, কলকাতার আরও অনেক থানার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। সে ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের একাধিক থানায় সিসিটিভি অচল থাকার অভিযোগ ওঠে। সেই কারণে সিসিটিভি গুলি কী অবস্থায় রয়েছে? তা জানতে চাইছে লালবাজার। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন থানার আধিকারিকদের লালবাজার কন্ট্রোল রুমে সে বিষয়টি জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোনও সিসিটিভি অচল থাকলে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতার প্রতিটি থানাতেই কমপক্ষে তিনটি করেছে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। যার মধ্যে লক আপ, ঢোকা ও বেরোনোর পথ এবং থানার সেরেস্তাতে সিসিটিভি আছে। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রেই সিসিটিভি ক্যামেরার দেখাশোনার দায়িত্ব থাকা সংস্থার তরফে অভিযোগ করা হয়, বিনা কারণে সিসিটিভি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আবার বহু জায়গায় সিসিটিভি বন্ধ রাখা হচ্ছে। সেই কারণেই লালবাজারের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আমহার্স্ট স্ট্রিট-কাণ্ডের পর বিভিন্ন থানায় নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সংখ্যক সিসিটিভি না থাকার বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে প্রতিটি থানা চত্বরে ১৪ টি জায়গায় সিসিটিভি লাগাতে হবে। এই নির্দেশ মেনে কলকাতার ২৪ টি থানায় সিসিটিভি বসানোও হয়েছে। কিন্তু তারপরে বাকি থানাগুলিতে থমকে গিয়েছে সিসিটিভি বসানোর কাজ। থানার যেখানে পুলিশকর্মী এবং সাধারণ মানুষ চলাফেরা করেন সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার জন্য থানাপিছু ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে লালবাজার। তাছাড়া বাকি জায়গাগুলিতে সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।