শিয়ালদা ও হাওড়া শাখায় লোকাল ট্রেন চালানোর আগে স্টেশনগুলি থেকে হকার নির্মূল করার পথে হাঁটতে পারে রেল। সূত্রের খবর তেমনই। জানা গিয়েছে, ১২ কামরার ট্রেনে ৭০০ – ৭৫০ জনের বেশি যাত্রী উঠতে দেবে না ট্রেন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখে ট্রেন চালাতে রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় ভিড় কমাতে উদ্যোগী রেল। সেজন্য স্টেশনে যাবতীয় হকারদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হতে পারে। কোন স্টেশনে কী সমস্যা তা আলাদা করে খতিয়ে দেখছেন রেলের আধিকারিকরা। একই সঙ্গে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেলের জমিতেও আর বসতে দেওয়া হবে না বাজার।
রেলের তরফে জানা গিয়েছে, ট্রেন চালুর আগে সমস্ত স্টেশন বেড়া দিয়ে ঘেরা হবে। স্টেশনে যাত্রী ও রেলকর্মী ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবেন না। যাত্রীদের স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে থার্মাল স্ক্যানিংয়ের পর। স্টেশনে ঢুকতে গেলে পরতেই হবে মাস্ক। মানতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের যাবতীয় বিধি।
পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যেখানে একটি ১২ কামরার ট্রেনে ১৪৮৮ জন যাত্রী বসে যাত্রা করতে পারেন, সেখানে ট্রেনে কোনও মতেই ৭০০ – ৭৫০ জনের বেশি যাত্রী উঠতে পারবেন না। অর্থাৎ অর্ধেক আসন খালি রেখে চলবে লোকাল ট্রেন। আর দাঁড়ানোর তো প্রশ্নই নেই।
হকার সরানোর চেষ্টা হলে বাধা আসতে পারে এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যে রেলের তরফে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে রাজ্যের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, যে সব স্টেশনে হকার ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা মিলবে না সেখানে দাঁড়াবে না লোকাল ট্রেন।
ওদিকে করোনাভাইরাসের নামে হকার উচ্ছেদের চেষ্টা হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবারই শিয়ালদহ – বনগাঁ শাখার বারাসত স্টেশনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন হকাররা। তাদের দাবি, যে কোনও সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে রাজি তারা। কিন্তু হকার উচ্ছেদ চলবে না।