মিড-ডে মিলে দেওয়া চাল ও আলু সংগ্রহ করতে স্কুল চত্বরে পড়ুয়াদের প্রবেশ করার অভিযোগে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত শিক্ষক-সহ দুই সরকারি স্কুলের প্রধানশিক্ষককে বদলির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জেরে পড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিলে দেওয়া খাদ্যদ্রব্য বণ্টনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রক। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে প্রতি সোম ও মঙ্গলবার স্কুল থেকে ছাত্রপিছু ২ কেজি চাল ও আলু সংগ্রহ করতে বলা হয় অভিভাবকদের।
শিক্ষা মন্ত্রকের বিধি ভেঙে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে সোমবার স্কুলে ছাত্রদের প্রবেশাধিকার দেন দুই প্রধানশিক্ষক। এই কারণে তাঁদের বদলির নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ওইদিন কাটজুনগর স্বর্ণময়ী বিদ্যাপীঠে বেশ কিছু ছাত্রকে দেখতে পাওয়া যায়। তাদের কয়েকজনের দাবি, সোমবার কাজে ব্যস্ত থাকায় নিজেরা আসতে না পেরে ছেলেদের স্কুলে খাবার আনতে পাঠান অভিভাবকরা।
এ দিকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে স্কুলের প্রধানশিক্ষক পদ্মশ্রী প্রাপ্ত কাজি মাসুম আখতার পালটা অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে গত রবিবার জনতা কার্ফু অমান্য না করার কারণেই শাসকদল তৃণমূলের কোপে পড়েছেন বলেই তাঁকে বদলি করা হয়েছে। তাঁর দাবি, বারণ করা সত্ত্বেও অভিভাবকরা স্কুলে ছাত্রদের পাঠান। রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশে তাঁকে বাগবাজারের একটি স্কুলে বদলি করা হয়েছে।
একই অভিযোগে বদলির নির্দেশ জারি করা হয়েছে কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্যকে। তাঁকে শহরেই রানি ভবানী হাই স্কুলে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তাঁর উপরে আক্রমণ চালানো দুষ্কৃতীরা এখনও জেলের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছিলেন কাজি মাসুম আখতার। বদলির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পায়নি হিন্দুস্তান টাইমস।