পিছিয়ে যেতে পারে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সংশ্লিষ্ট পর্ষদ সূত্রে এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান পর্ষদের কর্তারা। ফলে এখনো প্রশ্নপত্র ছাপতে পাঠাননি তাঁরা।
প্রতি বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ছাপতে পাঠানো হয়। কামারহাটির সরস্বতী প্রেসে ছাপা হয় প্রশ্ন। প্রথমে ছাপা হয় মাধ্যমিকের প্রশ্ন। প্রতিটি পরীক্ষার জন্য ৩ সেট করে প্রশ্নপত্র ছাপা হয়। কোনও কারণে একটি সেট বাতিল হলে বিকল্প সেট প্রস্তুত থাকে। কোন সেটে পরীক্ষা হবে তা পরীক্ষার কয়েকদিন আগে ঠিক করেন পর্ষদের আধিকারিকরা। ফলে প্রশ্ন ফাঁস হলেও পরীক্ষা বাতিলের মতো পরিস্থিতি এড়ানো যায়।
তবে এবার পরিস্থিতি একেবারে আলাদা। জানুয়ারির প্রথম থেকেই ফের তাণ্ডব শুরু করেছে করোনা। রোজ লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এরই মধ্যে মার্চে হওয়ার কথা মাধ্যমিক। এপ্রিলে উচ্চ মাধ্যমিক। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে নির্ঘণ্ট মেনে পরীক্ষা হবে কি না তা লাখ টাকার প্রশ্ন।
পর্যদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা করাতে মরিয়া তারা। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রস্তুতি বাধা পাচ্ছে। এবার হোম সেন্টারে হওয়ার কথা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক। সেজন্য পুরো ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। কিন্তু করোনার জেরে বাতিল হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। যার জেরে আপাতত প্রশ্নপত্র ছাপতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদগুলি। সূত্রের খবর, আগামী ১৫ দিনে করোনা পরিস্থিতি কোথায় পৌঁছয় তা দেখে প্রশ্ন ছাপার ব্যাপারে এগোবে তারা।