কোভিড–বিধি মেনে চলার তাগিদে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে হারে কেন্দ্র বেড়েছে সেই অনুপাতে শিক্ষক বাড়েনি। ফলে সব কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার সময় নজরদারি করার খামতি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এটা যদি ঘটে তাহলে পরিদর্শক নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে। শহর–গ্রাম এই সমস্যা নিয়ে এখন ভাবনায় পড়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকটি স্কুলের প্রধানশিক্ষক–শিক্ষিকা জানান, ক্লাসঘর অনুযায়ী প্রতিটিতে নজরদারির জন্য দু’জন শিক্ষক দিতে হয়। সেটা মিলছে না। উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে অনেকে বদলি হয়েছেন। ফলে সেখানে একটা ঘাটতি থেকে গিয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ায় অনেক নতুন স্কুলে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র হয়েছে। সেখানেও শিক্ষকের অভাব। এই সমস্যার কথা জানিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শককে চিঠি পর্যন্ত লেখা হয়েছে।
এই সমস্যা নিয়ে যখন চর্চা তুঙ্গে তখন পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুল থেকে অনেক শিক্ষক উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে শহরের স্কুলে চলে যাওয়ায় শিক্ষক সংখ্যা বেশ কমেছে। বেশ অনেকগুলি স্কুল পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী স্কুলগুলির উপরে নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু কোডিভের জেরে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তারাও শিক্ষক দিতে পারছে না।’
রাত পোহালেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তা নিয়ে বিস্তর তোড়জোড় চলছে। সেখানে এই সমস্যা নিয়ে শিক্ষক-নেতা তথা অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক নবকুমার কর্মকার বলেন, ‘গ্রাম থেকে শহরেও এমন কিছু স্কুলে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র হয়েছে, যেখানে শিক্ষকের অভাব আছে। তাই স্কুলগুলি এবার নির্বিঘ্নে মাধ্যমিক পরীক্ষা নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে।’