করোনা আবহে বুধবার কালীঘাট থেকেই একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে একাধিক ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীকে একের পর এক তোপ দাগেন মমতা। জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় করা ইস্যু পেগাসাস নিয়ে সব থেকে বেশি আক্রমণাত্মক হতে দেখা যায়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে। তাঁর অভিযোগ, স্পাই সফটওয়্য়ার ব্যবহার করে মানুষের অন্দরমহলে ঢুকে পড়ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বেআইনিভাবে ফোন আড়ি পাতা হচ্ছে।
এদিন মমতা সরাসরি অভিযোগ করেন যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর-সহ তাঁর পরিচিত সাংবাদিকদের ফোনও ট্যাপ করা হচ্ছে। নিজের ফোনে প্লাস্টার লাগিয়ে তা তুলে ধরেন। তৃণমূল সুপ্রিমোর সাফ কথা, পেগাসাস সফটও্যার ব্যবহার করে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি এদিন অভিযোগ করেন যে নির্বাচনের সময় তিনি যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করছিলেন, তাও পেগাসাসের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছিল। বলেন, 'নির্বাচনের সময় আমার, অভিষেক আর প্রশান্তের বৈঠকে পেগাসাস মাধ্যমে আড়ি পাতা হয়।'
এদিন মমতা আরও বলেন, 'ফোন তো এখন কল রেকর্ডারের মতো হয়ে গিয়েছে। ফোনে যা কথা বলব রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে। পেগাসাস, ডেঞ্জারাস, ফেরোসাস। মানুষকে হয়রান করছে। আমি চাইলেও চিদম্বরমের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। অন্ধ্র, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারছি না৷ কারণ ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। গরিবদের টাকা না দিয়ে স্পাইগিরি করছেন৷ আর খালি মারছেন-ধরছেন।'
এদিকে পেগাসাস কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার আবেদন করেন মমতা। স্পাইওয়্য়ার ব্যবহার করে মানুষের ব্যক্তিগত পরিসরে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রাজনৈতিক নেতা থেকে মন্ত্রী, আমলা এমনকী বিচারপতি, সকলেরই ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, তাঁরা কি নিজে থেকে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন না?