শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তবে ঘটতে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নবান্নে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সব ঠিক থাকলে নভেম্বর মাসেই এই সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ওই মাসেই পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্যে আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এই বৈঠক হবে নবান্নের সভাঘরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে থাকার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। সুতরাং টানটান একটা ছবি দেখা যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
কোন রাজ্যগুলি থাকবে এই বৈঠকে? জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে বাংলা–সহ ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং সিকিম যোগ দেবে। কারণ এই পাঁচ রাজ্যই পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য। এই পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চারটিই অবিজেপি শাসিত। একটিতে অর্থাৎ সিকিমে যে সরকার রয়েছে সেখানে বিজেপির সমর্থন রয়েছে। এই পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রথামাফিক থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের। এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরও। এই সূত্রে মুখোমুখি হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, সীমান্ত সুরক্ষা সহ–নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক তিনি করবেন কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি। রাজ্য বিজেপির নেতারা এই খবর জানতে পেরে আড়কাঠির কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। কারণ তাঁরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী। আর এই বৈঠক হয় রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চাইলেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসতে পারেন।
বাংলার সরকার কী কোনও উদ্যোগ নেবে? নবান্ন সূত্রে খবর, আন্তঃরাজ্য সীমানায় পাচারের অভিযোগ নিয়ে অমিত শাহের কাছে নালিশ করতে পারে রাজ্য সরকার। গরু, কয়লা পাচার নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। সীমান্তে থাকে বিএসএফ। যা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। তারপরও পাচার হচ্ছে এবং রাজ্য সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে বলে একাধিকবার অভিযাগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সব কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কানে তুলে দিতে পারেন তিনি।