কাঠগড়ায় খোদ তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য। রেশন ডিলারদের কাছ থেকে জোর করে সরকারি পণ্য আদায়ের অভিযোগে, নাম না-করে ধমক দিলেন নিজের দলের নেতা-কর্মীদের। বললেন, রেশনের চাল নিয়ে এলাকায় বিলি করা যাবে না এলাকায়। যে কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত খোদ তাঁর খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
গতকাল খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়ে রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছিল, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জোর করে রেশন ডিলারদের কাছ থেকে চাল-আটা- সাবান ইত্যাদি আদায় করছেন তৃণমূল নেতারা। রেশনের সেই সব সামগ্রী বিলি করা হচ্ছে দলীয় পতাকার নীচে। এভাবে চাল – আটা নিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সামগ্রী সরবরাহ করতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এমনকী একটি ক্ষেত্রে খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূল নেতাকে পণ্য দিতে বাধ্য হন এক রেশন ডিলার।
মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের লোকেরা রেশন দোকান থেকে চাল নিয়ে বিলি করছেন। এসব করা যাবে না। যাদের ত্রাণ বণ্টনের ইচ্ছা রয়েছে তাদের নিজেদের সামর্থে তা কিনতে হবে। রেশন দোকানদারদের হেনস্থা করা যাবে না।‘ সঙ্গে রেশন ডিলারদের সাধারণ মানুষের অসহায়তা বুঝতে অনুরোধ করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তিতে রেশন ডিলাররা। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা বিধানসভার অন্তর্গত এক রেশন ডিলার জানালেন, চলতি মাসে রেশনের চাল পৌঁছতেই ২ ক্যুইন্টাল চাল নিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের এক নেতা। চাল না দিলে ‘পরে অসুবিধা হতে পারে’ বলে হুমকি দেন তিনি। এমনকী ওই চাল তার সরকারেরই দেওয়া বলেও জানান।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রকল্প ভেদে আগামী ৬ মাস পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করছে রাজ্য সরকার।