কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তরপরই একের পর এক 'জয়' ঘোষণা করছেন বিরোধী নেতারা। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে ডেরেক ও'ব্রায়েন, সবাই কেন্দ্রকে তোপ দেগে কৃষকদের জয়ের উল্লেখ করেছেন। আর কৃষি আইন প্রত্যাহারে কৃষকদের 'আন্তরিক শুভেচ্ছা' জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এদিন এক টুইট বার্তায় মমতা লেখেন, 'যাঁরা নিরলসভাবে লড়াই করেছেন এবং বিজেপির নিষ্ঠুরতায় বিভ্রান্ত হননি, সেই সকল কৃষককে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এটি আপনাদের বিজয়! এই লড়াইয়ে যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।'
উল্লেখ্য, কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের অসন্তোষকে হাতিয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় স্তরে নিজেদের বিজেপি বিরোধী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর হয়েছিল এক সময়। এর আগে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘ প্রায় একবছর ধরে দিল্লি সীমানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে কৃষকরা। মমতার নির্দেশে সেখানে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদরা যখন কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন মুখ্যমন্ত্রী ফোনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারেও মমতার মুখে বারংবার উঠে এসেছে কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গ। রাকেশ টিকাইতের মতো কৃষক নেতার সঙ্গে নবান্নে বৈঠকও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে মোদী বিরোধিতার লড়াইয়ে এই তিন আইন প্রত্যাহারের বিষয়টিকে নিজেদের 'জয়' হিসেবে দেখাতে মরিয়া থাকবে তৃণমূল। জাতীয় স্তরে কংগ্রেসও বিজেপির বিরুদ্ধে এই 'জয়'কে হাতিয়ার করতে চাইবে নিঃসন্দেহে। তবে আপাতত সেই বিতর্কে না গিয়ে সবাই এই বিষয়টিকে 'কৃষক'দের জয় হিসেবে দেখছেন।
এদিন এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী টুইট করে লেখেন, 'সত্যাগ্রহের মাধ্যমে দেশের অন্নদাতারা তাঁদের মাথা ঝুঁকিয়ে দিলেন, যাঁরা ঔদ্ধত্যে পরিপূর্ণ ছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই জয়ে সবাইকে শুভেচ্ছা। জয় হিন্দ, জয় কিষাণ!' এই বিষয়ে কংগ্রেসের তরফে টুইট করে লেখা হয়, 'অভিমান ভেঙেছে, জিতেছে আমার দেশের কিষাণ।' মোটের উপর রাহুল থেকে মমতা, সবার 'ভাষা' এখন প্রায় এক।