১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে নানা টানাপোড়েন চলেছে। তবে এবার চরম হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কার্যত কেন্দ্রকে সময় বেঁধে দিলেন নেত্রী। সাধারণতন্ত্র দিবসেই মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, আর ৭দিন দেখা হবে। তারপর বকেয়া না পেলে একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা না ছাড়লে বিরাট আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা।
রাস্তায় নেমে আন্দোলনের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিকল্প ছিল না। তবে তিনি তখন ছিলেন বিরোধী নেত্রী। এখন তিনিই মুখ্য়মন্ত্রী। তবে রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে তিনি কেন্দ্রকে কার্যত সময় বেঁদে দিলেন। তাঁর সাফ কথা আর ৭দিন দেখা হবে। কেন্দ্র-রাজ্য় সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তারমধ্য়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা না ছাড়লে তৃণমূল বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।
রাজভবনে চা চক্রে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে সাধারণতন্ত্র দিবসেই তিনি কেন্দ্রকে একেবারে সময় বেঁধে দেন।
এদিকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে মঙ্গলবার সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছিল দিল্লিতে। কেন্দ্র ও রাজ্য় সরকারের সচিব পর্যায়ে বৈঠক ছিল এটি। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব শৈলেশ কুমার সিং উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সচিবরাও ছিলেন বৈঠকে। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে বকেয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে হল বৈঠক। তবে শেষ পর্যন্ত লোকসভা ভোটের আগে এই ১০০দিনের কাজের বকেয়া মিলবে কি না সেটাই বড় প্রশ্ন।
১০০দিনের বকেয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই চূড়ান্ত টানাপোড়েন চলেছে। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় একাধিকবার এনিয়ে দিল্লিতে দরবার করেছেন। এমনকী ধর্নাও হয়েছে। শ্রমিকদের নিয়ে গিয়ে ধর্নায় বসেছিল তৃণমূল। তারপরও বকেয়া মেটেনি। তবে সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকেও বড় কোনও দিশা মেলেছে এমনটা নয়।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারে রাজ্যের ১০০ দিনের কাজে বকেয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু অসংগতির কথা জানিয়েছিল। সেই নিরিখে রাজ্য় সরকার কী কী কাজ করেছে সেটা তুলে ধরা হয় দিল্লির ওই বৈঠকে। তবে এবার এল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি।
এদিকে ১০০ দিনের কাজে প্রচুর হিসেবের গরমিল রয়েছে বলে বার বারই অভিযোগ ওঠে। তবে শাসকদলের তরফ থেকে দাবি করা হয় গ্রামের গরিব মানুষের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। এটা মানা যায় না। তবে সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া পাওনা ইস্যুতে ফের সুর চড়াতে শুরু করল তৃণমূল।