ইডি–সিবিআই এখন রাজ্যে তৎপরতা বাড়িয়েছে। রাজ্যের এক মন্ত্রী এবং এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি কয়লা পাচার নিয়ে বাংলার আট পুলিশকর্তাকে নয়াদিল্লিতে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জ্ঞানবন্ত সিং, কোটেশ্বর রাও, সুকেশ জৈন, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, তথাগত বসু, সেলভা মুরুগানদের মতো আইপিএস অফিসারদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। আজ। সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে ইডি–সিবিআইকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন? আজ, মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘সিবিআই–ইডির দুর্নীতি মামলা আমাদের কাছে আছে। বাংলার অফিসারদের দিল্লিতে ডেকে কিছু করলে এখানেও আইনানুগ অ্যাকশন নেব।’ সুতরাং কেন্দ্রীয় সংস্থা বলে পার পেয়ে যাবে না তা তিনি আজ বুঝিয়ে দিয়েছেন। আজ বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও বিঁধেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বোঝাতে চাইলেন, জ্ঞানবন্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হলে পাল্টা দাওয়াই তাঁর জানা আছে।
কী বার্তা আজ দেওয়া হল? আজ সবার সামনে তুলে ধরা হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সবাই চোর আর বিজেপি শুধু সাধু? এখন রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু এবং কয়লা পাচার মামলায় অতি সক্রিয়তা দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের। তাই আজ ছাত্র সমাবেশে সেই ভয়টাই ভাঙাতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তরুণদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভয় পাবেন না তো? একদম ভয় পাবেন না।’
আর আজ বক্তব্যের শেষে হিন্দিতে তিনি বলেন, ‘সবাইকে ইডি–সিবিআই দেখাচ্ছেন। নির্বাচনের আগে ববি, অভিষেক, অরূপ, মলয়, চন্দ্রিমাকে গ্রেফতার করে জেলে ভরো। ভাবছে তাহলে তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি জিতবে। আমি বলছি আমাকেও গ্রেফতার করো। তার পর দেখো কী হয়। আমি জেলে থাকলেও বেরিয়ে আসব। নির্বাচনের আগে তো মেরে আমার পা ভেঙে দিয়েছিলে। ভেবেছিল বেরোতে পারবে না৷ তার পর কী হয়েছে?’