Buddhadeb Bhattacharya: নতুন প্রজন্মকে নিয়ে খুব চিন্তা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের! আশীর্বাদ নিতে গেলেন সায়রা

সায়রা বলেন, বুদ্ধবাবুর শরীর এখন কিছুটা ভালো আছে। তিনি বললেন এই লড়াই লড়তেই হবে। তিনি আশীর্বাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই লড়াই লড়তেই হবে। দেখাতে হবে যে আমি এই লড়াই লড়তে পারি। আমি জিততে পারি। আমি বলেছি আমি লড়ব আর জিতব।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ফাইল ছবি

প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর বাড়িতে গেলেন কলকাতা দক্ষিণের বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। এদিনই তিনি মনোনয়ন জমা দেন। সেই সঙ্গেই তিনি প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে যান। পাম অ্যাভিনিউয়ের  দুকামরার ফ্ল্যাট । সেখানেই থাকেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। তিনি আর সভা সমিতিতে যান না। সম্প্রতি এআইয়ের মাধ্য়মে সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা হাজির করেছিল সিপিএম। তবু আজও বাম কর্মীদের কাছে খুব প্রিয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। 

এবিপি আনন্দে একান্ত সাক্ষাৎকারে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য । তিনি জানিয়েছেন, এখন একটু হলেও ভালো আছেন । 

তিন দফার ভোট হল তিনি কি খোঁজখবর রাখছেন? 

মীরা ভট্টাচার্য জানান, খোঁজখবর রাখছেন। অবশ্য়ই খোঁজ রাখছেন। 

এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কাছে আশীর্বাদ চান সায়রা শাহ হালিম।  

কী নিয়ে কথা হল?  

সব নিয়েই কথা হল। ছেলেপিলেরা ছোটোছোটরা বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের তাদের জন্য যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে। সমস্তটাই জিজ্ঞাসা করছেন কীভাবে তারা এগোচ্ছে।ভারত সরকার সব মিলিয়ে..। টোটাল ব্যাপারটা। যদিও পশ্চিমবঙ্গকেন্দ্রিক ব্যাপারটা।

প্রত্যেকদিন পড়ে শোনাতে হয়। পার্টির যারা আসছেন তাদের কাছ থেকে খোঁজ নেন। লেটেস্ট ডেভেলপমেন্ট কী। ওনাকে পড়ে শোনাতে হয় খবরের কাগজ। টিভি দেখতে পান না। তবে তিনি শুনতে পান না। সায়রা শাহ হালিম এসেছিলেন। তিনি বলেন, আমি সায়রা শাহ হালিম। ফুয়াদ হালিমের স্ত্রী। তিনি অল্প হাসলেন। সায়রা বললেন আপনি আমায় আশীর্বাদ করুন। আপনার আশীর্বাদ আমার খুব দরকার। ওর মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করলেন। আর বললেন পরীক্ষা কবে। আর প্রস্তুতি কেমন হয়েছে? 

এবার কি সম্ভব হবে ভোট দেওয়ার? বুদ্ধদেববাবু কি এবার ভোট দিতে যেতে পারবেন? 

সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে বুদ্ধদেব জায়া জানিয়েছেন, না এটা একেবারেই সম্ভব হবে না। আমার সন্তানের …তিনজনের জায়গায় যখন আমরা দুজন ভোট দিতে যাই সেটা খুব আংশিক থাকে ব্যাপারটা…

ওনার একটা আক্ষেপ থাকেই। ভোট তো দিতে পারব না। এটা নিয়ে ওনার সন্তানের সঙ্গেই কথা হয়।  

সায়রা বলেন, বুদ্ধবাবুর শরীর এখন কিছুটা ভালো আছে। তিনি বললেন এই লড়াই লড়তেই হবে। তিনি আশীর্বাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই লড়াই লড়তেই হবে। দেখাতে হবে যে আমি এই লড়াই লড়তে পারি। আমি জিততে পারি। আমি বলেছি আমি লড়ব আর জিতব।