ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইতে ১২ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুই পক্ষের রুদ্ধশ্বাস গুলির লড়াইয়ের পর মাওবাদীদের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই।
ছত্তিশগড়ে এই সদ্য হওয়া মাওবাদী অভিযানে মাওবাদী মৃত্যুর সংখ্যা ধরলে চলতি বছরে ১০০ জন মাওবাদীর মৃত্যু হল নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে। এপ্রিল পর্যন্ত সংখ্যাটা ছিল ৯১। ২০১৯ সালের পর এই বিপুল সংখ্যক মাওবাদী নিকেশের ঘটনা ঘটল ছত্তিশগড়ে। আপাতত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৩।
শুক্রবার বিজাপুরের গাঙ্গালুর এলাকায় এই গুলির লড়াই চলে। জানা যাচ্ছে, এই এলাকা মাওবাদীদের পোক্ত ডেরা। সেখানেই অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই এলাকা বীজাপুরের পেড়িয়া পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত। জানা গিয়েছে, এলাকার জঙ্গলের ভিতর দুই পক্ষের গুলির লড়াই চলে।
এই অভিযানের পর পুলিশ ১২ টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের তালিকায় ছিল ১২ টি ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার, ১২ টি বোর রাইফেল ও মাজেল লোডিং রাইফেল। আপাতত এই মাওবাদীদের দেহ শণাক্ত হওয়া বাকি রয়েছে। এদিনের অভিযানে ছিল ডেলা রিজার্ভ গার্ড, স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স, বাস্তারিয়া ব্যাটালিয়ান, সোন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্স। ছিল কোবরা বাহিনীও। গেরিলা যুদ্ধে এই কোবরা বাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম। দক্ষিণ বস্তারের ডিজিপি জানিয়েছেন,' বিজাপুর জেলা সদর থেকে আনুমানিক ৫৫ কিলোমিটার দূরে পেড়িয়া জঙ্গলে অবস্থিত একজন বিশিষ্ট মাওবাদী নেতার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এনকাউন্টার সাইট থেকে এখনও পর্যন্ত ১২ টি মাওবাদীদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে।'
জানা গিয়েছেস শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। পরে তা বিকেল ৫ টা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল কঙ্কর জেলায় ২৯ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়। সেবারও চলে একটি অভিযান। শুক্রবারের এনকাউন্টার পর এই অভিযান নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।