একবারও রাহুল গান্ধীর নাম করলেন না। তবে ঘুরিয়ে কংগ্রেস সাংসদকে 'জবাব' দিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার্তা দিলেন, বুদ্ধির জোরেই তৃণমূলের প্রতিনিধিরা লখিমপুর খিরিতে কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন। তাতে অন্য কোনও অন্তর্নিহিত বিষয় নেই।
বুধবার জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘কৃষক পরিবারদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। লখিমপুরে খুব অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র দল। যে দলের প্রতিনিধিরা তাঁদের (কৃষকদের) বাড়ি গিয়ে পৌঁছাতে পেরেছেন - দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং আবির বিশ্বাস। অন্য কেউ পারেনি। তাঁদের ১২ ঘণ্টা লেগেছিল। এ পথ, ও পথ করে, লুকিয়ে লুকিয়ে প্রায় (পৌঁছে গিয়েছেন)। দোলা তো বলেছে, আমি পঞ্জাবি সেজেছিলাম। এসব করে তাঁরা গিয়ে পৌঁছাতে পেরেছেন, এটা একটা বড় ব্যাপার।’
গত রবিবার কৃষকদের ‘পিষে হত্যার’ ঘটনায় লখিমপুর খিরিতে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে বুধবার রাহুল বলেন, 'আমি বাস্তব চিত্রটা বুঝতে সেখানে যেতে চাই। লখিমপুরে গেলেই সেখানেই পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব। বাকিদের তো বাধা দেওয়া হয়নি সেখানে যাওয়া থেকে। তৃণমূল কংগ্রেস ও ভীম দলকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে লখিমপুরে।' রাহুল আরও বলেন, 'এটা সম্পূর্ণরূপে কৃষকদের ইস্যু। প্রিয়াঙ্কাকে (গান্ধী বঢরা) আটক করা হোক বা আমাদের বাধা হোক, সেটা আলাদা প্রসঙ্গ।'
উল্লেখ্য, গত রবিবার লখিমপুর খিরিতে কৃষকদের ‘পিষে হত্যার’ ঘটনায় টেনির ছেলের নাম জড়িয়েছে। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিসের গাড়িই কৃষকদের পিষে দিয়েছে। আশিসের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরে দাবি করা হয়েছে, যে গাড়িটি কৃষকদের পিষে দিয়েছে, তাতে বসেছিলেন আশিস। বাহরাইচ জেলার বাসিন্দা জগজিৎ সিং নামে যে ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তিনি দাবি করেছেন, পুরো ঘটনাটি ‘পূর্ব-পরিকল্পিত’। সেজন্য ‘ষড়ষন্ত্র করেছিলেন’ মন্ত্রী এবং তাঁর ছেলে।