সকালেই গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরহাদ হাকিম-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের তিন নেতাকে। সেই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে পৌঁছালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘণ্টাদুয়েক সেখানেই বসে আছেন তিনি।
সোমবার সকালে নবান্নে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মমতা। তবে বাড়ি থেকে সোজা চলে আসেন নিজাম প্যালেসে। সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিটে নিজাম প্যালেসে এসেই সোজা দুর্নীতিদমন শাখার ১৫ তলার অফিসে চলে যান তিনি। নীচে লিফটের কাছে দাঁড়িয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা। তৃণমূলের নেতা তথা আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত জানান, ‘বেআইনিভাবে’ গ্রেফতারের প্রতিবাদে তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তুলেছেন মমতা। নাহলে তিনি সিবিআই দফতর থেকে বেরোবেন না। তিনি বলেন, ‘মমতা জানিয়েছেন, বেআইনিভাবে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে।’
সোমবার সকালে চেতলায় ফিরহাদের বাড়িতে অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির চারপাশ ঘিরে রাখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ভিতরেও চলে যান তাঁরা। কিন্তু ঠিক কী কারণে ফিরহাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে, তা প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট করা হয়নি। কিছুক্ষণ পর বাহিনীর ঘেরাটোপে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসে নিয়ে আনে সিবিআই। কিছুক্ষণ পর চারজনকেই গ্রেফতার করা হয়। যদিও একই মামলায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা হয়নি, তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়।