বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Mamata Banerjee: মন্ত্রীর জয়ী আসনে পরাজয় কেন?‌ সাগরদিঘি নিয়ে রিপোর্ট তলব তৃণমূল সুপ্রিমোর

Mamata Banerjee: মন্ত্রীর জয়ী আসনে পরাজয় কেন?‌ সাগরদিঘি নিয়ে রিপোর্ট তলব তৃণমূল সুপ্রিমোর

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা‌ বন্দ্যোপাধ্যায়।

পরাজয়ের ময়নাতদন্তে গেরুয়া শিবির যে নিজেদের ভোট ট্রান্সফার করেছে সেই তথ্য উঠে এসেছে জেলা নেতৃত্বের হাতে। দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোড়াফুলের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েও মতামত তুলে ধরা হচ্ছে রিপোর্টে। এখানে সংখ্যালঘু প্রার্থীর প্রয়োজন ছিল। দেবাশিসকে প্রার্থী করা বড় ভুল সিদ্ধান্ত বলেই তাঁরা মনে করছেন।

একটি বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়–পরাজয়ে রাজ্যের ক্ষমতার অলিন্দে খুব একটা হেরফের হয় না। তারপরও রাজ্যজুড়ে চর্চায় উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কেন্দ্রের ফলাফল। কারণ এই উপনির্বাচনে বাম–কংগ্রেস জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস ২২ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন। এখন দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই পরাজয়কে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। ফলাফল নিয়ে স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বলে সূত্রের খবর।

কেন মন্ত্রীর জয়ী আসনে হার?‌ এই নিয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ২০১১ সালের ‘‌পরিবর্তনের নির্বাচন’‌ থেকে গত বিধানসভা নির্বাচন—টানা তিন দফায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মুখ ফেরায়নি একদা কংগ্রেসের গড় সাগরদিঘি। গতবার এই কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন সুব্রত সাহা। তাহলে এবার কী হল?‌ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

সূত্রের খবর, পরাজয়ের ময়নাতদন্তে প্রাথমিকভাবে গেরুয়া শিবির যে নিজেদের ভোট ট্রান্সফার করেছে সেই তথ্য উঠে এসেছে জেলা নেতৃত্বের হাতে। আবার দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোড়াফুলের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েও মতামত তুলে ধরা হচ্ছে রিপোর্টে। কারণ এখানে সংখ্যালঘু প্রার্থীর প্রয়োজন ছিল। সেখানে দেবাশিসকে প্রার্থী করা বড় ভুল সিদ্ধান্ত বলেই তাঁরা মনে করছেন। যা জানাবেন দলনেত্রীকে। কারণ তাঁকে একসময় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তিনি দলে ফিরে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পান।

তাহলে কি ভুল বার্তা গিয়েছে?‌ নির্বাচনের পর প্রতিটি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও বুথভিত্তিক খবর দিয়ে জানিয়েছিলেন, জয় নিশ্চিত। তাঁরা কি জনমন বুঝতে পারেননি?‌ এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তাই কাঁটাছেঁড়া করতে শুক্রবার বিকেলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক বসেছিল জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে। সূত্রের খবর, সেখানে কেউ কেউ অন্তর্ঘাত নিয়ে সরব হন। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘‌দলের মধ্যেই অন্তর্ঘাতের কিছু খবর আমরা পাচ্ছি। সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুথস্তরে দায়িত্বে থাকা নেতাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে।’‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন
Live Score