তৃণমূলের অভিষেকায়ন নিয়ে জোর চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। এরই মাঝে দুর্নীতির অভিযোগে চাপে তৃণমূলের এককালের বাঘা বাঘা সব নেতারা। দলে আওয়াজ বেড়েছে অভিষেক ঘনিষ্ঠ কুণাল ঘোষের। এরই মাঝে ইঙ্গিতবহ মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মমতা বলেন, ‘আমি চির কাল থাকব না, তাই নতুন প্রজন্ম তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছি।’
এর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মোদী-শাহের আক্রমণ সামলে দলের জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন অভিষেক। সেনাপতি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার পর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসেন অভিষেক। ক্রমেই দলে তাঁর প্রভাব বিস্তার হয়। তবে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি নিয়ে অভিষেকের মনোভাবকে সমর্থন করতে পারেননি দলের অনেকেই। এরপর পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়েও দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। একদিকে যেখানে অভিষেক ছিলেন। তাঁর বিপরীতে ছিলেন সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা। এই বিতর্কের মাঝেই দলের সংগঠনকে ফের ঢেলে সাজান মমতা। অভিষেক নিজের সেনাপতি পদে বহাল থাকেন। এরই মাঝে পার্থ দুর্নীতির দায়ে জেলে যান। দল থেকেও বহিষ্কৃত হন। তৃণমূলের আরও সব তাবড় নেতাদের উপর নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। এই আবহে মমতার ইঙ্গিতবহ মন্তব্যে নতুন করে বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ অভিষেকের হাতে কী শীঘ্রই ব্যাটন তুলে দিতে চলেছেন মমতা? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মাঝে মাঝেই বিরোধীদের গলায় অবশ্য শোনা যায় ‘মমতা বনাম অভিষেকের’ জল্পনা। তবে সেই সব জল্পনা উড়িয়ে মমতা এবার ধীরে ধীরে পরবর্তী প্রজন্মের হাতে ক্ষমতার রাশ তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। তবে অভিষেকের ‘অভিষেক’ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেও এখনও ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন মমতা। ব্যাটনের হাতবদল কবে হবে, তা এখনও জানে না কেউ।