আগামী মাসে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই নিয়ে সমস্ত দল থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনের ব্যস্ততা তুঙ্গে। আর তারই মধ্যে ছোটখাট রদবদল হয়ে গেল রাজ্য মন্ত্রিসভায়। এতদিন পরিবেশ দফতরের দায়িত্ব ছিল সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার কাছে। এবার পরিবেশ দফতরের দায়িত্ব হাতছাড়া হল মানস ভুঁইয়ার। তাঁর জায়গায় ওই দফতরের দায়িত্ব নিজের হাতেই নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বর্তমানে মানসের হাতে রইল শুধু জল সম্পদ উন্নয়নর দফতর। আজ বৃহস্পতিবার নবান্নে বিজ্ঞপ্তি জারি করে মন্ত্রিসভায় রদ বদলের কথা ঘোষণা করা হয়।
কী কারণে এই রদবদল তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই রদবদল তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর আগে বহুবার মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়েছে। তখন নিজের কাঁধে একাধিক দফতরের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন তাঁর দায়িত্বে ছিল ৮ টি দফতর। সেই তালিকায় এবার জুড়ল পরিবেশ দফতর। ফলে বর্তমানে মোট ৯টি দফতর মুখ্যমন্ত্রী হাতে চলে আসল। এগুলি হল স্বরাষ্ট্র ও পাহাড়, তথ্য ও সংস্কৃতি, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব, ত্রাণ ও পুনর্গঠন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, সংখ্যালঘু বিষয়ক, কর্মীবর্গ ও প্রশাসন, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান এবং পরিবেশ দফতর।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে নবান্নের তরফে কিছু জানানো না হলেও মানস ভুঁইয়ার ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। কিছুদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানসের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। শুধু সবংয়ে পড়ে না থেকে অন্যান্য এলাকাগুলিতে নজর দিতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে মানস বাবুকে। অগস্ট মাসে রাজ্যসভায় ৬ টি আসন ফাঁকা হতে চলেছে। যার মধ্যে পাঁচজন তৃণমূলের। সেই তালিকায় রয়েছেন শান্তা ছেত্রী। তাঁর জায়গায় মানসকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। পরে শান্তাকে দার্জিলিং থেকে লোকসভা থেকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল।