দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতর অব্যাহত। সম্প্রতি এই চর্চায় নতুন করে ইন্ধন দিয়েছেন গবেষক তপতী গুহঠাকুরতা। নবমীতে তিনি এক পুজো মণ্ডপে বলেন, এই কাজের পর তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। মঙ্গলবার রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি তপতীর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বলেন, গবেষণার জন্য উনি ১৫ লক্ষ টাকা কনসালটেন্সি ফি পেয়েছেন। পাল্টা তোপ দেগে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, কেন্দ্রের আসল রূপ এখন মানুষ দেখতে পাচ্ছেন।
ওই পুজো মণ্ডপে দাঁড়িয়ে তপতী গুহঠাকুরতা বলেন, 'গবেষক হিসাবে দু'দশক আগে আমি পুজোর কাজে নামি। কাজ শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমার কোনও যোগযোগ নেই।' কাজের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এখানকার সরকার হোক বা কেন্দ্র, স্বীকৃতিটা তারা নিজেদের হয়ে নেবে। এটা আমাকে খুব এক একটা অবাক করে না। আমি যথেষ্ট স্বীকৃতি পেয়েছি। কোনও আফসোস নেই।' তাঁর এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় বিতর্ক।
মঙ্গলবার কয়েকটি পুজো মণ্ডপ দেখতে শহরের আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি. এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,' উনি যদি এই কথা বলেন তবে আমি ইউনেস্কোর সার্টিফিকেটটা টুইট করব। উনি ১৫ লক্ষ টাকা কন্সালটেন্সি ফি পেয়েছেন। যার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা উনি যে কাজ করেছেন তার জন্য, আর ৫ লক্ষ টাকা একটি তথ্যচিত্র বানানোর জন্য। আমি সব টুইট করব। যিনি টাকা নেওয়ার পরও এই ধরনে কথা বলেন, তা আসলে নোংরা রাজনীতি।'
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বলেন,'তপতীদেবী গুরুত্ব দিয়ে কাজটি করেছেন। ফলে ওনার আক্ষেপ থাকতেই পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানোর কর্মসূচি নিয়েছিলেন সেই দিন তপতীদেবীকে যথাযোগ্য সম্মান ও সংবর্ধনা দিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্র তাঁর কাজের স্বীকৃতি দেয় না। ইউনেস্কো দিলে বলে, আমরা করেছি। এ তো চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়া।'
পুজো মিটলেও দুর্গা পুজোকে স্বীকৃতি দেওযা