সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট ইডিকে পার্টি করেছে। তারপর ব্রাত্য–ববিরা সুর চড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টে এই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন ফিরহাদ–জ্যোতিপ্রিয়রা। আর ঠিক তার পরের দিন শনিবার কলকাতা পুরসভার মেয়রের গলায় শোনা গেল উদ্বেগের সুর। জেলে যেতে তিনি ভয় পাচ্ছেন না। বরং সামাজিক সম্মান নষ্টের ভয় পাচ্ছে বলে উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী? সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে ফিরহাদ–সহ ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নামে ইডিকে পার্টি করে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পার্থ–অনুব্রত গ্রেফতার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘তদন্তে কোনও ভয় পাচ্ছি না। সবারই তো সামাজিক সম্মান রয়েছে। সেই সামাজিক সম্মান নিয়ে টানাটানি করলে সবার ভয় লাগে। জেলে থাকতে ভয় নেই। বাংলার অনেক নেতাই জেলে ছিলেন। কিন্তু সামাজিক সম্মান যেভাবে রাস্তায় টেনে নামায়, যেভাবে কিছু কিছু মিডিয়া ক্যাঙারু কোর্ট বসিয়ে দেয় সেটার ভয় সবার থাকে।’
কেন এমন মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম? পার্থ–অনুব্রত গ্রেফতারের পর থেকেই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে একাধিক মন্ত্রী–বিধায়কের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা। ২০১৭ সালে এই নিয়ে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। এই মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। আর ইডি–সিবিআই এখন বাংলার নেতা–মন্ত্রীদের গ্রেফতার করতে তৎপরতা দেখাচ্ছে। তাতে একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বাংলায়। আগেও ফিরহাদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও ছেড়ে দিতে হয়েছিল। তাই এমন মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলছে বিজেপি? এই বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তিনি নিজের মত পোষণ করতেই পারেন। রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতেন পারেন, বিরোধিতাও করতে পারেন। এখন বাংলায় যে রাজনৈতিক অবস্থা, তা কোনও দলের ওপর নির্ভরশীল নয়। কেউ কারও বিরুদ্ধে কোনও তদন্তের নির্দেশ দেয়নি। এই মামলাটি কে করেছেন? সেটা সবাই জানে।’