আজ, সোমবার সকালে নারায়ণপুরের চন্দ্রানি এলাকায় বাড়ির ভিতরে স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি করে স্বামী। স্ত্রীকে খুন করার পর স্বামী নিজে পুলিশকে খবর দেয় এবং নারায়ণপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নারায়নপুর থানার পুলিশ। পেশায় প্রোমোটার স্বামী। তাই তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল কোনওভাবে। যা দিয়ে গুলি করে স্ত্রীকে খুন করে বলে অভিযোগ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউটাউন লাগোয়া নারায়ণপুরে খুনের ঘটনা ঘটেছে। আজ সকালে আচমকাই স্ত্রী টুম্পা ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অভিযুক্ত স্বামী অজয় ঘোষ। দুটি গুলি স্ত্রী টুম্পার গায়ে লেগেছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই গৃহবধূ টুম্পাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অজয়ের কাছে বন্দুক এলো কোথা থেকে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। টুম্পা ঘোষের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্ত স্বামী অজয় ঘোষ নিজেই থানায় গিয়ে খুনের কথা কবুল করেন এবং আত্মসমর্পণ করেন।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গোটা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী অজয়ের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার সঙ্গে দুটি কার্তুজও মিলেছে বলে সূত্রের খবর। কোথা থেকে অভিযুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র পেল সেটা ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে বলেও খবর মিলেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়। অভিযুক্তের মা জানান, তাঁর ছেলে–বউমার মধ্যে একসপ্তাহ ধরে অশান্তি চলছিল। তা থামছিল না। তারপরই এমন ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন: রাখি পূর্ণিমার আগেই ‘দিদি’র রাখির চাহিদা তুঙ্গে উঠল, রোজগার বাড়ল শিল্পীদের
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে স্বামী অজয় ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রীর নাম টুম্পা ঘোষ (৩২)। দাম্পত্য কলহ দেখা দিয়েছিল দু’জনের মধ্যে। তার জেরেই এই গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অজয় ও টুম্পা একে অপরকে সন্দেহ করতেন। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। আর সেই বচসা থেকেই এই গুলি চালিয়ে খুন বলে জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বাকিটা বোঝা যাবে। তবে থানায় নিজে এসে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী অজয় ঘোষ।