এখন গোটা দেশের মধ্যে বড় খবর মৌরবি সেতু। যা গুজরাটে ভেঙে পড়েছে। আর তার জেরে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছে। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার জেরে এখন অন্যান্য রাজ্যও শিউরে উঠেছে। এই ঘটনার পরই বাংলার সেতুগুলির কী অবস্থা? তা নিয়ে তড়িঘড়ি রিপোর্ট তলব করল নবান্ন। তারপরই ছুটোছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং–সহ কয়েকটি জেলায় এই ধরনের ঝুলন্ত সেতুর রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তারপর বাকি সেতু এবং উড়ালপুল নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী আগামীকাল, মঙ্গলবারের মধ্যেই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ প্রত্যেকটি জেলার পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? গুজরাটের মৌরবি জেলার মচ্ছু নদীর উপর ব্রিটিশ জমানার সেতুটি বিগত বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল রক্ষণাবেক্ষণের জেরে। সম্প্রতি ফের পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল এই সেতুটি। রবিবার সন্ধ্যায় সেই ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে। তার জেরে প্রাণ হারান প্তায় ১৫০ জন মানুষ। নবান্ন সূত্রে খবর, এই ঘটনার খবর পেয়েই রাজ্যের সমস্ত উড়ালপুলগুলি কী অবস্থায় রয়েছে? উড়ালপুলগুলির কবে শেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল? তা জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটির রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আগামীকাল, মঙ্গলবার বিকেল ৪টের মধ্যে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে পূর্ত দফতর। সেই বৈঠকে থাকবেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়–সহ নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকরা। আর জেলার ইঞ্জিনিয়াররা ভার্চুয়ালি থাকবেন বৈঠকে। তার আগেই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
ঠিক কী ঘটেছে গুজরাতে? গুজরাটের মৌরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৫০ জন হয়েছে। সারারাতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে মোট ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁদের খোঁজে উদ্ধারকাজ জারি আছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে সামিল হয় সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীও। রবিবার সন্ধ্যাতেই গুজরাতের মৌরবিতে সেতু ভেঙে পড়ে মানুষের মৃত্যুমিছিলে স্তম্ভিত হয় গোটা দেশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? গুজরাটের ছায়া যাতে বাংলায় না পড়ে তার জন্যই এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই বাংলায় এমন কোনও ঘটনা চাইছে না রাজ্য সরকার। এই কারণেই রাজ্যের সমস্ত ঝুলন্ত সেতু এবং উড়ালপুলগুলির রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সেটা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গুজরাটে ব্রিটিশ আমলের এই সেতুটি পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ ছিল। সংস্কারের পর গত ২৬ অগস্ট সেটি ফের নতুন করে উদ্বোধন করা হয়েছিল।