বৃহস্পতিবার রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রের। এখন তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। এমন আবহে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই পরিস্থিতিতে অসুস্থতার মধ্যেই হাসপাতালের বেড থেকে হঠাৎ নীচে পড়ে যান মদন মিত্র। আর তার জেরে বিধায়কের কাঁধের হাড় ভেঙে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আগামী সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের কাঁধে অস্ত্রোপচার করা হতে পারে।
এদিকে প্রবল খিঁচুনি জেরেই বেড থেকে মাটিতে পড়ে যান মদন মিত্র। ঠাণ্ডায় মাটিতে বাঁ–হাত গিয়ে চাপ পড়ে। তখনই কাঁধের একটি হাড় ভেঙে গিয়েছে বলে সূত্রে খবর। আজ, শুক্রবার কাঁধের এক্স–রে হয়েছে। এক্স–রে করে দেখা গিয়েছে, মদন মিত্রের অস্ত্রোপচার করা দরকার। তবে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও অসুস্থ থাকায় এখনই অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে না। গত ৪ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুকে ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। গতকাল তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় জ্ঞান হারান তিনি। তখনই সিসিইউ’তে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে।
অন্যদিকে নতুন করে বিপদ এল মদনের জীবনে। একে অসুস্থ, তাঁর উপর কাঁধের হাড় ভেঙে যাওয়ায় এখন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন দাপুটে বিধায়ক। তবে হাড় ভেঙে গিয়ে এখন কেমন আছেন সেটা জানা যায়নি। মদন মিত্রের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মদনের কাঁধের চোট ভালই লেগেছে। হাসপাতালের বেড থেকে পড়েই সেই চোট লেগেছে। মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা মদন মিত্রকে পরীক্ষা করেন। তাঁর কাঁধের এক্স–রে করা হয়। ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারা সব খতিয়ে দেখবেন।
আরও পড়ুন: লোকসভায় উঠে এল সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের উদাহরণ, সংসদে আত্মপক্ষ সমর্থনে না মহুয়াকে
এছাড়া গত সোমবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। শীতকালীন অধিবেশন চলছে এখন। সেই অধিবেশনে যোগ দেন কামারহাটির বিধায়ক। কিন্তু অধিবেশন চলাকালীনই মদন মিত্রকে কাশতেও দেখা যায়। সহকর্মীদের জানান, কাশি হয়েছে। বিধানসভার থেকে ফিরে রাতেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় মদনের। তারপর থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখনও শ্বাসকষ্ট আছে। অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। স্যালাইনও চলছে। এই অবস্থায় অস্ত্রোপচার সম্ভব নয় বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।