হাওড়ার জগাছার তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনের চার্জশিট দেখে হতবাক বিচারক। প্রথম চার্জশিটে যাদের নাম ছিল দ্বিতীয় চার্জশিটে তাদের নাম পাওয়া যায়নি। এর পরই ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি।
এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা খেয়াল করেন, প্রথম চার্জশিটে যাদের নাম ছিল মামলার দ্বিতীয় চার্জশিটে তাদের নাম নেই। এর পরই বিচারপতি মন্তব্য করেন, এতো ঠাকুরঘরে কে, আমি তো কলা খাইনির মতো ঘটনা।
সিবিআই তদন্তের দাবি করে তপনবাবুর স্ত্রী প্রতিমাদেবীর দায়ের করায় এই মামলায় সওয়াল করছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি দাবি করেন, এই মামলায় তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। ফলে সিবিআই তদন্ত না হলে সত্য প্রকাশ্যে আসা অসম্ভব। এমনকী তদন্ত যে সঠিক পথে হচ্ছে না তা মেনে নিয়েছে নিম্ন আদালত।
পালটা সরকারের তরফে দাবি করা হয়, মামলা যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে এখন সিবিআই তদন্ত করেও কোনও লাভ নেই।
২০১১ সালের ৬ মে খুন হন বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত। পরিবারের অভিযোগ, জলাজমি ভরাটের বিরোধিতা করায় তাঁকে খুন করেছে তৃণমূলেরই একাংশ। সেই প্রথম রাজ্যে কোনও ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। তদন্তে নামে সিআইডি। বিচারপ্রক্রিয়া শেষে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনকেই খালাস করে নিম্ন আদালত। সেই রায় খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর পর এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার।