বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > তৃণমূলের জেন নেক্সট তৈরি, বুঝিয়ে দিল কলকাতা পুরসভার ফল

তৃণমূলের জেন নেক্সট তৈরি, বুঝিয়ে দিল কলকাতা পুরসভার ফল

তৃণমূল কংগ্রেসের সবুজ ঝড়ে ধরাশায়ী বিজেপি–সহ বামফ্রন্ট–কংগ্রেস। ফাইল ছবি 

দল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েছেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা। তবে দলের সিদ্ধান্ত একেবারেই যে ভুল ছিলনা পুরভোটের ফলাফল ঘোষণার পর তা প্রমাণিত হলো।

পুরভোটে ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ অধিকাংশ ওয়ার্ডই দখল করেছে জোড়া ফুল। এবার তৃণমূল নেতাদের পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই প্রার্থী করা হয়েছে। তবে সেই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিলেন না দলের অনেকেই। পরিণতি স্বরূপ অনেকেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েছেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা। তবে দলের সিদ্ধান্ত একেবারেই যে ভুল ছিলনা পুরভোটের ফলাফল ঘোষণার পর তা প্রমাণিত হলো।

রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজা থেকে শুরু করে নগর উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ ভট্টাচার্য, বিপর্যয় মোকাবেলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খানের ছেলে ফৈয়াজ জামেদ, স্বর্ণ কমল সাহার ছেলে সন্দীপন সাহা , প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা বিধায়ক ইকবাল আহমেদের কন্যা সানা আহমেদ সকলেই জয়ী হয়েছেন।

শ্যামপুকুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজা। প্রাক্তন কাউন্সিলর পার্থ মিত্রকে ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী না করায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। কংগ্রেসে যোগ দিলেও পরে অবশ্য ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে আবার তৃণমূলের ফিরে আসেন তিনি। দক্ষিণ কলকাতার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ ভট্টাচার্য। ২০১৫ সালের পর এই ওয়ার্ড ছিল বিজেপির দখলে। বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তা দাস বিশ্বাসের মৃত্যুর পর তার স্বামী গৌরব বিশ্বাসকে প্রার্থী করা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু, তাকে প্রার্থী না করায় বিজেপি ছেড়ে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েন । বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব চন্দ্রিমা পুত্রকে কিছুটা এগিয়ে রেখেছিল।

কসবার বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাভেদ খান ১৫ বছর ধরে ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। এবার তার ছেলের দখলে রইল ওই ওয়ার্ডটি। অন্যদিকে, বাম নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা গোস্বামীকে এবার যাদবপুরের ৯৬ ওয়ার্ডের প্রার্থী করা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই তিনি ভোটে লড়তে রাজি হয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন বসুন্ধরা গোস্বামী। প্রথমবার ভোটে দাড়িয়েই জিতলেন বসুন্ধরা।

৬২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুরভোটে জয়ী হয়েছেন ইকবাল আহমেদের কন্যা সানা আহমেদ।লরেটোর প্রাক্তনী সানা সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকেই বিপুল সমর্থন পেয়েছেন বলে ভোটের ফলে প্রমাণিত। ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থী করা হয়েছিল স্বর্ণকমল সাহার ছেলে সন্দীপন সাহাকে। এর আগে তিনি ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। সব মিলিয়ে তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্মকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করছে দলের একাংশ।

বন্ধ করুন