বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > স্ট্রিট ফুড বিক্রি করতে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক, কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার

স্ট্রিট ফুড বিক্রি করতে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক, কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার

স্ট্রিট ফুডের স্টল। প্রতীকী ছবি : ইনস্টাগ্রাম ( Instagram)

স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, রাজ্যের সর্বত্র সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফুড সেফটি অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।

পথের খাবার বা স্ট্রিট ফুড কতটা নিরাপদ?‌ এই প্রশ্ন বেশি করে উঠতে শুরু করেছে। কারণ করোনাভাইরাসের প্রভাব দেখেছে গোটা বিশ্ব। এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে স্বাভাবিক হচ্ছে এই পথের খাবার বা স্ট্রিট ফুড। এই পরিস্থিতিতে এবার ফুচকা থেকে ঝালমুড়ি, গোটা ফল থেকে কাটা ফল—সব ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য দফতরের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হচ্ছে। এমনকী খাদ্যসামগ্রী বিক্রেতার রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, রাজ্যের সর্বত্র সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফুড সেফটি অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরাই গোটা বিষয়টি মনিটরিং করবেন।

২০১১ সালে ‘ফুড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড সেফটি অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র অধীনেই গোটা দেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন কার্যকর হয়। কেন্দ্রীয় আইন প্রত্যেক রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কার্যকর করে। এই আইনে বলা আছে, যে কোনও খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করলেই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, রাজ্যে ফুড রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করতে ২০১৮ সালেই পদক্ষেপ করে রাজ্য। তখনই প্রায় ১৪০ জন ফুড অফিসার নিয়োগ করা হয়। কিন্তু করোনা আবহে স্বাস্থ্য দফতর নজর দিতে পারেনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই কড়াকড়ি করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের খাদ্য সুরক্ষা শাখার ফুড সেফটি ইনস্পেক্টিং অফিসার বিশ্বজিৎ মান্না বলেন, ‘এই আইনে বেবি ফুড থেকে ফুচকা— সবকিছুই খাদ্য সুরক্ষা শাখার অধীনে। রাজ্যের সর্বত্র এই আইন সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হচ্ছে। ছোট ব্যবসায়ী, রাস্তার পাশে বসা অস্থায়ী দোকানদার থেকে হকার খাদ্যসামগ্রীর ব্যবসা করলেই এফএসএসএআই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। প্রতি বছর ১০০ টাকা দিয়ে এই লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করাও বাধ্যতামূলক। আর বড় অঙ্কের ব্যবসা যাঁরা করেন তাঁদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স থাকা তো অবশ্যই বাধ্যতামূলক।’

জানা গিয়েছে, এখন সব শহরে জোর দেওয়া হবে। মাছ, সবজি বিক্রেতাদেরও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হচ্ছে। জেলায় জেলায়ও এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার জন্য অফিসাররা জেলায় গিয়ে ঘুরে দেখবেন। তারপর যাঁরা পথে খাবার বিক্রি করেন তাঁদের লাইসেন্স–রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়টি বলা হবে। সচেতন করা হবে। না মানলে অবশ্যই শাস্তি পাবেন তাঁরা।

বন্ধ করুন