এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তারপর থেকে এখন তিনি প্রেসিডেন্সি জেলের বাসিন্দা। কিন্তু জেল থেকে আদালতে যাওয়া বা চিকিৎসা করতে বাইরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব দেখা দিয়েছে। তাই এবার ভার্চুয়ালি শুনানির জন্য বিশেষ আদালতে আবেদন জানালেন প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। এই আবেদন লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
কেন নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠছে? সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সেলের বাইরে বেরোলেই টিপ্পনী কাটা হয়। আবার কেউ নানা জিনিস ছুঁড়ে মারে। যদিও একটিও তাঁর লাগেনি। এমনকী ইএসআই হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় তাঁকে জুতো ছুঁড়ে মারা হয়েছিল। যদিও সেটা তাঁর গাড়িতে গিয়ে লেগেছিল। এমনকী তাতে জীবন সংশয়ে পড়তে পারে। প্রেসিডেন্সি জের কর্তৃপক্ষের এই আবেদন আজ, মঙ্গলবার বিশেষ আদালত মঞ্জুর করেছে। সুতরাং পার্থকে আর সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না।
ঠিক কী লেখা ছিল চিঠিতে? এই চিঠিটি লিখেছিলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘সশরীরে হাজিরা দিতে হলে নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলার বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যদি ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানির ব্যবস্থা করা হয় তাহলে নিরাপত্তা থেকে আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকবে।’ এই চিঠি পেয়ে সবদিক বিচার করে আবেদন মঞ্জুর করে বিশেষ আদালত।
কী বলছেন পার্থের আইনজীবী? এই আবেদন মঞ্জুর করার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, তাঁরা প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। তাই আদালতে নিজেদের মতামত তুলে ধরা হবে যুক্তি সহকারে। এই নিয়ে অবশ্য প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেননি। আপাতত পার্থ চট্টোপাধ্যায় রেহাই পেল সশরীরে হাজিরা দেওয়ার থেকে।