রাজ্যভাগের দাবিতে নয়, বঞ্চনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গের মানুষ। মঙ্গলবার দলের ২ সাংসদের পৃথক রাজ্যের দাবিকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, সরকার মানুষের আস্থা হারিয়েছে। তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এরকম দাবি করেছে। তবে এদিনও তিনি স্পষ্ট করেছেন, রাজ্য ভাগের দাবিকে সমর্থন করে না বিজেপি।
এদিন নিউ টাউনে মর্নিং ওয়াকে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘বঙ্গভঙ্গের দাবি কেউ করেনি। সবাই বলছে যে বঞ্চনা হচ্ছে। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা বাদ দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের লোককে স্বাধীনতার পর থেকে সবাই বঞ্চিত করেছে। মুক্তি ও অধিকারের জন্য আজ তাই তারা বিরোধী দলকে ভোট দিচ্ছেন। সেখানকার মানুষের যে ক্ষোভ রয়েছে প্রতিনিধি হিসাবে সেটা তারা বলেছেন। তবে রাজ্য সরকারের প্রতি যে বিশ্বাস – আস্থা নেই সেটা বোঝা যাচ্ছে। ওখানকার মানুষ সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। রাজ্য সরকার সেটাকে প্রশমিত করুক। কাজ করে দেখাক। সেখানকার মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিক’।
রাজ্য সরকারের উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ‘ভোটের আগে কিছু এঁটোকাঁটা ছুঁড়ে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের গিয়ে বললেন যে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেব। ভোটের আগে একবার দিয়ে ভোট নিলেন, তারপর বলছেন পয়সা নেই। আদিবাসীদের ১০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। এখন বলছেন পয়সা নেই। এই যে ধোঁকাবাজি চলছে এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আওয়াজ’।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি স্পষ্ট করেছেন, রাজ্য ভাগের দাবিকে সমর্থন করেন না তাঁরা। তাঁদের দল গোটা পশ্চিমবঙ্গের একসঙ্গে উন্নয়ন চায়। প্রশ্ন হল, তাহলে আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব সাংসদ – বিধায়কদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করছে না বিজেপি?