কোভিড সন্দেহে এবার রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে এক রোগীকে ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।ওই রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে গিয়েছিল। এই অবস্থায় কোভিড সন্দেহ করেন চিকিৎসকেরা। তারপর অভিযোগ ওঠে, ওই রোগীকে ভর্তি না—নিয়ে অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর মেডিক্যাল কলেজ কলকাতা রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (এমসিসিআরডিএ)’র তরফে সব হাসপাতালে কোভিডের পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদেরও চিকিৎসার দাবি জানানো হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার। ওইদিন ভোরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ৪৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এই রোগীর শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৭০ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। অভিযোগ, এই অবস্থাতেই রোগীকে কোভিড আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি না—নিয়ে, অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়।
এদিকে, একাধিক হাসপাতাল ঘুরেও বেড পাননি রোগী। অবশেষে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে। সেখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই রোগীকে যখন ভর্তি নেওয়া হয়, ততক্ষণে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়ে গিয়েছিল।
এই ঘটনায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের সংগঠন এমসিসিআরডিএ—র তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই রোগীর শারীরিক অবস্থার যদি আরও অবনতি হত, তখন তার দায় কে নিত ? তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, যে এসএসকেএম হাসপাতাল এত উন্নত সেখানে সামান্য শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা হতে পারে না ? কেবল 'কোভিড হতে পারে' এই ভয়ে রোগীকে ফেরানো হচ্ছে কেন?
অভিযোগের বিষয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল পীযূষকুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেডিক্যাল কলেজ কলকাতা রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্রশ্ন, এভাবে কখনও অতিমারিসামলানো যায়? প্রতিটি হাসপাতালে কোভিড বিভাগ প্রয়োজন। যেখানে কোভিড বা কোভিড সন্দেহে রোগীদের চিকিৎসা হবে। সেক্ষেত্রে রোগীদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল ঘুরতে হবে না। এদিকে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় এরাজ্যেও সংক্রমণ যেভাবে দ্রুত হারে বাড়ছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা৷