আচমকা মুকুল রায়ের স্ত্রী'কে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ পরেই আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার মুকুলের কাছে ফোন এল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর থেকে। সূত্রের খবর, স্ত্রী'র শারীরিক অবস্থার বিষয়ে মুকুলের থেকে খোঁজ নেন মোদী।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১১ মে মুকুলের স্ত্রী কৃষ্ণাকে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। করোনা-মুক্ত হয়ে গেলেও তাঁর অন্যান্য শারীরিক জটিলতা আছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। সপ্তাহ তিনেকের বেশি হাসপাতালে ভরতি থাকলেও মুকুল-জায়াকে দেখতে কোনও বিজেপি নেতা গিয়েছেন বলে স্মরণ করতে পারছে না গেরুয়া শিবির। তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু। তারইমধ্যে ফেসবুকে 'বেসুরো' পোস্টও করেন। তা নিয়েও বিজেপির তরফে তেমন আমল দেওয়া হয়নি।
কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় মুকুল-জায়াকে হাসপাতালে দেখতে যান যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক। সেই সময় মুকুল হাসপাতালে ছিলেন না। কথা বলেন শুভ্রাংশুর সঙ্গে। পরে অভিষেকের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন মুকুল-পুত্র। তারপরই আসনে নামে বিজেপি। তৃণমূল সাংসদ বেরিয়ে যাওয়ার পর কিছুক্ষণ পরই হাসপাতালে আসেন দিলীপ। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি ড্যামেজ কন্ট্রোলে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে দেখতে তড়িঘড়ি হাসপাতালে গেলেন দিলীপ?
সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ ফোন আসে মোদীর। সূত্রের খবর, মুকুল-পত্নীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। প্রায় মিনিট দুয়েক কথা হয়। তার জেরে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি ড্যামেজ এতটাই বেশি হয়ে গিয়েছে যে দিলীপ গিয়েও লাভ হল না? খোদ মোদীকে ফোন করতে হল?