সল্টলেকে আবারও ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ পেল পুলিশ। এই ভুয়ো কলসেন্টারের সাহায্যে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হত। ঘটনায় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও, প্রচুর নগদ টাকা সহ উদ্ধার হয়েছে কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন এবং বেশ কিছু নথি। আজ মঙ্গলবার ধৃতদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। মূলত, বেলজিয়াম সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ব্র্যান্ডেড মাইক্রোসফট এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে তারা প্রতারণা করত।
বিধাননগর ও সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ পাচ্ছে পুলিশ। সেরকমই সল্টলেক সেক্টর ফাইভে ফিনহিত টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড নামে কোম্পানি খুলে সেখান থেকে ওই ভুয়ো কল সেন্টার চালানো হচ্ছিল। গোপন সূত্রে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ ওই ভুয়ো কলসেনস্টারের হদিশ পায়। তার ভিত্তিতে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ওই অফিসে হানা দেয়। সেখান থেকে পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছ রাজ জশওয়াল নামে এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি ভুয়ো কলসেন্টারের মালিক। যা লিডারশিপে এই কোম্পানি চলছিল তাকে এবং তার সঙ্গে আরও ছয়জনকে আটক করে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এই অফিসে বসে ভুয়ো কল সেন্টার চালানো হচ্ছিল। সেখান থেকে বেলজিয়াম সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়।
বিভিন্ন পেমেন্ট গেট ওয়ের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। পুলিশ তাদের কাছে এই কোম্পানি চালানোর জন্য বৈধ কাগজ দেখতে চাইলে তারা দেখাতে না পারায় এই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়।তাদের কাছ নগদ ৫৩ হাজার টাকা, ২৬ টি কম্পিউটার এবং ৯ টি স্মার্টফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, শহরে ভুয়ো কলসেন্টারের সংখ্যা বাড়ছে। যারফলে প্রতিদিনই হানা দিচ্ছে পুলিশ। এর আগেও শহরে একাধিক ভুয়ো কলসেন্টারের হদিস পেয়েছে পুলিশ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রতারকরা বিদেশি নাগরিকদের টার্গেট করে থাকে। এদিন ধৃতরা কতজনের সঙ্গে প্রতারণা করেছে পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup