গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী আমির খানের খাটের তলায় ছিল প্রায় ১৭ কোটি টাকা। এতদিন উদ্ধার করতে পারেনি গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছিল। তবে এবার একেবারে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির খানকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এবার পুলিশের এই সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ইডির হাত থেকে ব্যবসায়ীকে বাঁচানোর জন্যই উত্তরপ্রদেশ থেকে ওই ব্যবসায়ীকে ধরে এনেছে পুলিশ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, তাকে বাঁচানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। যাতে সে সিবিআই-ইডির হাতে না আসতে পারে। আসলেই বিপদ। তাহলেই ১৭ কোটি টাকা জমা পড়ে যাবে। আর মেটিয়াবুরুজের মালিক তার কাছে সেই তথ্য থাকবে না এটা তো হতে পারে না।
প্রশ্ন উঠছে তবে কি সুকান্তর নিশানায় স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম? তবে তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, এরা হল ক্রিটিসাইজার। এদের নিয়ে মানুষের খুব একটা মাথাব্যাথা আছে এমনটাও নয়। আইন আইনের পথে চলবে।
এদিকে আমির খানকে ঘিরে রহস্য ক্রমশ দানা বাঁধছে। অনলাইন অ্য়াপের প্রতারণার মাধ্যমে সে কোটি কোটি টাকা জমা করেছিল বলে অভিযোগ। বিদেশেও ক্রিপটোকারেন্সির মাধ্যমে সে টাকা পাঠাত বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সেটাই এখন দেখার বিষয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এতদিন পুলিশ কিছুই জানল না? আর ইডির হানার পরেই পুলিশ নড়েচড়ে বসল? পাশাপাশি সেদিন ইডির হানার খবর সে কীভাবে আগাম পেয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।