বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে ফের একবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার একটি সংবাদমাধ্যমকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। সঙ্গে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলে ভুল হবে না’।
এদিন রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে শাহ বলেন, ‘বাংলায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা বিধ্বস্ত। আমফানের ত্রাণের টাকা যাচ্ছেতাই ভাবে নয়ছয় হয়েছে। এখান থেকে যে খাদ্যশস্য পাঠানো হয়েছিল তাও দুর্নীতির শিকার হল। করোনা মোকাবিলায় যেমন ব্যবস্থা হওয়া উচিত ছিল তা হয়নি। দুর্নীতি সীমা ছাড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলার দফারফা হয়ে গিয়েছে। বিনা বাধায় অনুপ্রবেশ চলছে। সমস্ত জেলায় বোমা বানানোর কারখানা রয়েছে। সত্যিই পরিস্থিতি খারাপ’।
পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর শাসকদল ও প্রশাসনের নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য সব থেকে চিন্তার কথা হল বিরোধী নেতা ও কর্মীদের ওপর যে ধরণের মামলা হচ্ছে ও তাদের খুন করা হচ্ছে ভারতের অন্য কোনও রাজ্যে এমনটা দেখা যায় না। একসময় কেরলে হত, এখন তো সেখানেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে’।
ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে অমিত শাহের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘আমরা কোমর বেঁধে লড়ব। এবার বাংলায় পরিবর্তন হবে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হবে’।
তবে রাজ্যে বিজেপির সরকার তৈরি হলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেব্যাপারে এদিনও মুখ খোলেননি তিনি। বলেন, ‘সে তো পরে দেখা যাবে। বাংলার মানুষ এখন তৃণমূল কংগ্রেসকে হাঠাতে চায়। সেটাই আসল কথা’।
পশ্চিমবঙ্গে কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে শাহ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করতেই পারেন। তাঁদের সে অধিকার রয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার বিষয়টি সাংবিধানিক ভাবে দেখে। রাজ্যপালের রিপোর্ট ও পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমার মনে হয় পশ্চিমবঙ্গে পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। তাই বিজেপি নেতাদের রাষ্ট্রপতি শাসন চাওয়ার মধ্যে কোনও ভুল নেই। আমার মনে হয় সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলে ভুল হবে না’।