অসুস্থ হয়ে পড়ছেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী তথা আন্দোলনকারী। নিয়ে যেতে হচ্ছে হাসপাতালে। কিন্তু 'পুলিশি হুঁশিয়ারির' মুখে কোনওভাবেই করুণাময়ী থেকে অনশন এবং বিক্ষোভ তোলা হবে না বলে দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিলেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের কথায়, 'চাকরি না পেলে জল স্পর্শও করব না।'
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, করুণাময়ীতে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। তারপর সন্ধ্যার দিকে করুণাময়ীতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এলাকার জারি আছে ১৪৪ ধারা।পুলিশে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে করুণাময়ী চত্বর। পুলিশের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কোনও ব্যাচকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব নয়, আমাদের কাছে সবাই সমান: গৌতম পাল
যদিও নিজেদের অবস্থানে অনড় আছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না নিয়োগপত্র পাচ্ছেন, ততক্ষণ আন্দোলন প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না। এক আন্দোলনকারী বলেন, 'চাকরি না পেলে জল স্পর্শও করব না।' কেউ কেউ বলছেন, ‘এবার ডু অর ডাই। মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং শিক্ষামন্ত্রীকে (ব্রাত্য বসু) মুখ খুলতে হবে।’ কেউ কেউ আবার বলেছেন, ‘(পুলিশের কথায়) মনোবল ভেঙে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যতক্ষণ না আমাদের দাবিপূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।’
আরও পড়ুন: আমরা প্রশিক্ষিত, আমাদের আগে নিয়োগ দিতে হবে, অবস্থান বসলেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরাও
হাইকোর্টের নির্দেশ চাকরির দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবিতে প্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকে আন্দোলনের জায়গায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তারপরই করুণাময়ী চত্বরে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায়।
আন্দোলনকারীদের দাবি, বিক্ষোভ বা অনশন প্রত্যাহারের কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। ১৪৪ ধারা জারি করায় বরং তাঁরা নয়া স্ট্র্যাটেজি নিয়েছেন। একসঙ্গে সকলে না বসে চারজন করে আন্দোলনকারীরা বসছেন। একে অপরের হাত ধরে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, বর্তমান পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালদের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলছেন।
আরও পড়ুন: যা বলার ব্রাত্য বলবে, আমি কালীপুজোয় যাচ্ছি, টেট বিক্ষোভ নিয়ে বললেন মমতা
তারইমধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। তাতে তাঁরা আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাতে বার্তাটা স্পষ্ট হয়েছে, ‘নাও অর নেভার।’