নিয়ম মেনেই চাকরি পেয়েছেন তিনি। বিপদে ফেলতে মিথ্যা বলছেন স্বামী। এমনই দাবি করলেন বাগদার ‘রঞ্জন’-কে টাকা দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ায় অভিযুক্ত পাপিয়া মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া মেনে চাকরি পেয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে পাপিয়াদেবী বলেন, ‘২০১২ সালের পরীক্ষায় আমি বসিনি। ২০১২ সালে আমার ছেলে একদম ছোট ছিল। পরীক্ষা দিতে যেতে অসুবিধা ছিল। ২০১৪ সালে ছেলেকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। স্বামীর সঙ্গে বহুদিন ধরে বিভিন্ন কারণবশত অশান্তি। অনেকগুলো কেস চলছে। আজ প্রতিটা চ্যানেল যেগুলো দেখাচ্ছে সেব্যাপারে আমি কিছু জানি না। সে কাকে টাকা দিয়েছে আমি জানি না। আমি পরীক্ষা দিয়েছি, কাউন্সিলিং হয়েছে, ইন্টারভিউ হয়েছে, তার পর চাকরি পেয়েছি। এতদিন পর এসব কথা বলা হচ্ছে কেন? তার সঙ্গে আমার গোলমাল বলে? জয়ন্ত বিশ্বাসের সঙ্গে আমার ৭ – ৮টা কেস চলছে। আমার কাছে সব নথি রয়েছে। সিবিআই চাইলেই জমা দেব'।
মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার–নিগ্রহ বিজেপি বিধায়কের, ভিডিয়ো পোস্ট তৃণমূলের
বর্তমানে নদিয়ার রাঘবপুর নিম্নবুনিয়াদী বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পাপিয়াদেবী। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্ধার্থশংকর ভট্টাচার্য বলেন, কে কী ভাবে চাকরি পেয়েছেন বলতে পারব না। উনি ৪ – ৫ ঘণ্টার জন্য স্কুলে আসেন। ক্লাস শেষ হলেই চলে যান। অত কথা তো হয় না। তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপারেও জানি না।
শুক্রবার পাপিয়াদেবীর স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাস দাবি করেন, টেট পাশ না করেই ৭.৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন তিনি।