গত দু'বছর দুর্গাপুজোয় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনা। আর এবার দুর্গাপুজোর আনন্দে বাধা ঘূর্ণাবর্ত। মহাষষ্ঠীতেই উত্তর-পূর্ব এবং তৎসংলগ্ন পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার জেরে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় কার্যত বৃষ্টিতে ভাসতে দেখা যায় কলকাতা-সহ একাধিক জেলাকে। তবে সেই বৃষ্টির মধ্যে অনেকেই ছাতা মাথায় দিয়ে পুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে পড়েন। আর তারই মধ্যে সমস্যা দেখা দেয় শিয়ালদা স্টেশনে। বুকিং কাউন্টারের ছাদ ফুটো হয়ে যাওয়ায় স্টেশনের মধ্যেই নেমে আসে জলের ধারা। সমস্যা মোকাবেলায় সরিয়ে নেওয়া হয় অস্থায়ী কাউন্টার। তার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী থেকে শুরু করে বুকিং কর্মীরা।
দুর্গাপুজোয় বাংলায় হাজির ২০ হাজার বিদেশি পর্যটক, কীসের প্রভাব পড়ল?
করোনা পর্ব কেটে যাওয়ার ফলে এ বছর শিয়ালদা স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বাড়বে তা আগেই অনুমান করেছিলেন রেলের কর্তারা। সে কারণে ভিড় সামাল দিতে স্টেশনের প্রফুল্ল দার অস্থায়ীভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার্থে ওই গেটের মুখে অস্থায়ীভাবে তিনটি টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। সন্ধ্যা বাড়তেই ভিড় বাড়ে যাত্রীদের আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নেমে পড়ে অঝোরে বৃষ্টি। ফলে অসংখ্য যাত্রী আশ্রয় নিয়েছিলেন শিয়ালদা স্টেশনে। এছাড়া যাত্রী চাপ সামলাতে যে অস্থায়ী টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছিল সেগুলিও বৃষ্টির কারণে সরিয়ে নিতে হয় কর্মীদের। এর ফলে চরম সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।
সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং। তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা দেখা দিয়েছিল তবে তা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ঘূর্ণাবর্তটি উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরেই রয়েছে। রয়েছে একটি অক্ষরেখা। যার জেরে অষ্টমী, নবমী ও দশমীর দিন বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। বিশেষ করে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি বাড়বে। তবে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।