আটার – চালের পর এবার ধান কেনাতেও রাজ্যে দুর্নীতির সন্ধান পেল ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনায় বছরের পর বছর দুর্নীতি হয়েছে। চালকল মালিকরা এজেন্ট মারফৎ চাষিদের কাছ থেকে কম দামে চাল কিনে সমবায় সমিতিগুলির কাছে বিক্রি করেছেন। এর পর ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের টাকা ঢুকিয়েছেন নিজেদের ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে।
সরকারি পদ্ধতি মেনে সমস্ত খাদ্যশস্যের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য থাকে। তার থেকে কম দামে কৃষকের কাছ থেকে ওই শস্য কিনতে পারে না কেউ। সরকারি এই পদ্ধতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যে বছরের পর পর গরিব কৃষককে বঞ্চনা করে হয়েছে বলে দাবি ইডি। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সরকারি বিধি মেনে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার কথা সরকার অনুমোদিত সমবায় সমিতিগুলির। চালকল মালিকরা সমবায় সমিতি থেকে ধান কেনেন। কিন্তু এরাজ্যে বছরের পর বছর তা হয়নি। তার বদলে চালকল মালিকরা ধান কিনতে জেলায় জেলায় এজেন্ট নিয়োগ করেছিলেন।
সেই এজেন্টরা ক্যুইন্টালপিছু ২০০ টাকা কম দামে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনেছে। এর পর সেই ধান তারা বিক্রি করেছে সমবায় সমিতিকে। সঙ্গে সমবায় সমিতিকে তারা ভুয়ো চাষিদের তালিকা দিয়েছে। সমবায় সমিতির কর্তাদের একাংশের কারসাজিতে সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে ঢুকেছে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের টাকা। এই ভুয়ো একাউন্টধারীরা আসলে চালকল মালিকদের আত্মীয় ও পরিচিত। এদের অ্যাকউন্টের নিয়ন্ত্রণ থাকত চালকল মালিকদের হাতে।
ইডির তদন্তকারীরা মনে করছেন, এভাবে রাজ্যে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির বখরা কোথায় কোথায় পৌঁছেছে জানতে তদন্ত শুরু করেছে তারা।