রেশন দুর্নীতি থেকে উপার্জিত টাকা আর কার কার কাছে জমা রেখেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জানতে মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে জেরার পরিকল্পনা করছেন EDর আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে তেমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। মেয়েকে লেখা গোপন চিঠিতে ৪ জনের নাম করেছিলেন বালু। তাদের মধ্যে ২ জনকে সনাক্ত করতে পারলেও বাকি ২ জনের পরিচয় নিয়ে নিশ্চিত হতে চান গোয়েন্দারা। তাই এই নিয়ে আগামী সপ্তাহে তৎপরতা বাড়াতে পারেন ইডির গোয়েন্দারা।
গত ১৫ ডিসেম্বর SSKM হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়র কেবিন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা খোলার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরদিন ১৬ ডিসেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে দেখা করতে প্রথমবার SSKMএর কেবিনে যান মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। সঙ্গে ঠিলেন জ্যেঠু দেবপ্রিয় মল্লিক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমতি নিয়ে বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মেয়ে। ইডি আদালতে জানিয়েছে, জ্যোতিপ্রির কেবিন থেকে বেরনোর সময় তল্লাশিতে প্রিয়দর্শিনীর কাছে একটি জ্যোতিপ্রিয়র লেখা একটি চিঠি উদ্ধার হয়। সেই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘টাকা দরকার হলে ডাকু, শাহজাহানের কাছে চাইবি।’ চিঠিতে আরও ২ জনের নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। যাদের কাছে জ্যোতিপ্রিয় মেয়েকে টাকা চাইতে বলেছেন। কিন্তু তারা কারা তা ইডি প্রকাশ্যে আনেনি। ইডি সূত্রে খবর, সেই ২ ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে পারছেন না আধিকারিকরা। তাঁদের আসল নাম পরিচয় জানতে প্রিয়দর্শিনীকে জেরা করার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বনগাঁয় শংকর আঢ্যর একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় ইডি। প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর রাত ১২টা নাগাদ গ্রেফতার হন শংকর আঢ্য। গাড়ি করে শংকর আঢ্যকে নিয়ে বেরনোর সময় ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায় শংকরের অনুগামীরা। হামলায় ভাঙে ইডির গাড়ির কাচ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় শংকর আঢ্য বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তদন্তকারীদের বলেছি যেন সুবিচার হয়।’
শুক্রবার রাতে শংকর আঢ্যের গ্রেফতারির পর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য বলেন, ‘সারাদিন ব্যবসা নিয়ে প্রশ্ন করল। রাত ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ ইডির এক আধিকারিক এসে বললেন জ্যোতিপ্রিয় কোন কাগজে ওর নাম বলেছে। আপনাকে গ্রেফতার করা হল। আমার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে। রেশন দুর্নীতির কিছু ও জানেই না।’ শনিবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের ED হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।