বাকিবুর সাম্রাজ্যে সম্পর্কে যতই সামনে আসছে ততই একেবারে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। তবে অল্প সময়ে কীভাবে এই রকেট উত্থান তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এবার বিস্ফোরক তথ্য় নিয়ে হাজির রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন তিনি।
শুভেন্দু লিখেছেন, বাকিবুর রহমান পিডিএস দোকানের মালিক ও চালকলের মালিক। খুব অল্প সময়ে তার উত্থান। হোটেল ব্যবসা, নার্সিং হোমের মালিক, একাধিক চালকলের মালিক, বিদেশে তৈরি গাড়ি, অভিজাত এলাকায় বিরাট সব ফ্ল্যাট আর একাধিক জমি। আর সেই জমি আবার বরাদ্দ করেছে হিডকো। একেবারে নিয়ম ভেঙে তার নামে জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল।
এভাবে কার্যত গোপন কথা সামনে এনে বোমা ফাটালেন শুভেন্দু।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, রহমান অন্তত ১৩টি কোম্পানির ডিরেক্টর। একাধিক শেল কোম্পানির সঙ্গে তিনি যুক্ত। একাধিক মন্ত্রী মন্ত্রী ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে তার ওঠাবসা। তার কাজকর্ম শুধু রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত নয়।
এরপর শুভেন্দু লিখেছেন, আমি ইডিকে অনুরোধ করছি বাকিবুর রহমানের সঙ্গে হিডকোর সম্পর্কটা একবার দেখুন। এটা আর্বান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের আওতায় রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সুবিধা ও সম্পত্তি হিডকোর থেকে নিয়েছেন। সেই ধরনের একটি প্লটের নথি আমি তুলে ধরলাম। এটা তো হিমশৈলের অংশমাত্র। এরপর আরও কিছু আছে…
সেই প্লট সংক্রান্ত নথি, ছবি তিনি তুলে ধরেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। তবে এই নথি বা প্লট সংক্রান্ত বিষয়গুলি যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। হিডকোর সঙ্গে এব্যাপারে যোগাযোগ করা যায়নি। সবটাই জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগেই জানিয়েছিলেন, খাদ্যমন্ত্রীরাও এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। এমনকী কার অনুপ্রেরণায় বাকিবুরের এই কেলেঙ্কারি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত মজুমদার। তবে এবার বাকিবুর প্রসঙ্গে কার্যত বোমা ফাটালেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, বাকিবুর আমাদের কেউ নয়, এটা আমরা বার বারই বলেছি।