মিড ডে মিল নিয়েও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি কেন্দ্রের দাবিকে কার্যত নস্য়াত করে দিয়েছেন। ব্রাত্য বলেন, মিড ডে মিলের কেন্দ্রীয় টিম পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিল। আমরা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছি। যৌথ পর্যালোচনা মিশন কমিটি। তারপর তারা দিল্লি ফিরে যান। একটি রিপোর্ট তারা জমা দেন। আমাদের সই নেয়নি। আমাদের সই ছাড়া এই রিপোর্ট কেন জমা দেওয়া হল তা নিয়ে আমরা জানতে চাই। তবে আমাদের না জানিয়ে এটা মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
ব্রাত্য বলেন, আমরা গত একবছর ধরে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরি। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের উপর খবরদারি করার জন্য এসেছিল বলে মনে হচ্ছে। অভিসন্ধি নিয়ে এসেছিল সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের দাবি, কোথাও কোনও হিসাবের গরমিল নেই। জেলা থেকে যে রিপোর্ট এসেছে তার ভিত্তিতে রিপোর্ট দিয়েছি। কিন্তু ওরা কেন এই রিপোর্ট দিল তা বোঝা যাচ্ছে না। মন্ত্রী বলেন আমাদের থেকে কোনও ব্যাখ্যা না নিয়েই সবটা করা হল। কোনও কৈফিয়ৎ চাননি আমাদের কাছ থেকে।
ব্রাত্য বলেন, বিরোধী দলনেতার কথা ওদের রিপোর্ট মান্যতা দেয়। ওদের ঘুরে ভালো লেগেছে। তাদের ভালো লেগেছে এটা বিজেপি নেতাদের পছন্দ হয়নি। তারপর তারা রাজনৈতিক কলকাঠি নাড়ে। রিপোর্টে আমার ধারনা ওদের সকলের সইও নেই। সেখানে রাজ্য বিজেপির দফতরে বসে মনে হয় রিপোর্ট লেখা হয়েছে।
আমরা প্রত্যেকটা বিষয়ে তাদের জানিয়েছি। একপেশে উদ্দেশ্য প্রণোদিত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তার মানে ১.২ কোটি শিশুকে আমরা মিড ডে মিল দিচ্ছি। এটাই হয়তো আমাদের অপরাধ। শিশুদের ব্যবহার তবুও আমরা মনে কাঁচা মিথ্যা ও অর্ধসত্য বলেই আমাদের মনে হয়েছে। এটাকে জয়েন্ট রিভিউ মিশন না বলে এটিকা ফল্ট ফাইন্ডিং মিশন বলাটাই যুক্তি যুক্ত। রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার জন্য় এটা করা হয়েছে বলেই আমাদের মনে হচ্ছে। দাবি ব্রাত্যর।
মিড ডে মিল নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। তবে এবার কার্যত কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিলের অনিয়ম নিয়ে চেপে ধরতেই এবার পালটা তা নিয়ে তোপ দাগলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি বিজেপির কার্যালয়ে বসে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে তাঁর ধারণা।